`নেইমারকে ছুঁয়ো না, সে বাতাসের আগে পড়ে যায়`- ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারকে নিয়ে নিন্দুকেরা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের এমন বার্তাই দেয়। ডাইভ মাস্টার, অভিনেতা নেইমার- এমন নানান নামে নেইমারকে ডাকা হয়। অবশ্য এসবের কারণও কারও অজানা নয়। ক্লাব কিংবা দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ- পেনাল্টি আদায় করতে নেইমারের অহেতুক ডাইভ নজর এড়ায়নি কোনো ফুটবলপ্রেমীরই। অবশ্য মাঠে নেইমার বিপরীত দলের খেলোয়াড়দের তীর্যক দৃষ্টিতে থাকেন- সেটাও অস্বীকার করার উপায় নেই। নেইমার মূলত এই ফায়দাই তুলে মাঠে ওভারঅ্যাক্ট করে ফেলেন।
অবশ্য এবার আর তার চালাকি এড়িয়ে যায়নি রেফারি ক্লেমেন্ট তারপিনের চোখ থেকে।
বিশ্বকাপ খুব একটা ভালো কাটেনি নেইমারের। তার দল সেমিফাইনালের মঞ্চে উঠতেও ব্যর্থ হয়। বিশ্বকাপের পর লিগে ফেরাটাও সুখের হলো না নেইমারের। লিগ ওয়ানে বুধবার রাতে স্ট্রাসবার্গের মুখোমুখি হয়েছিল পিএসজি। বিশ্বকাপের পর প্রথম এই ম্যাচেই মাঠে নেমেছিলেন নেইমার। ঘটনা ঘটে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের ৬১ মিনিটে। প্রতিপক্ষের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় আদ্রিয়েন থমাসনের সঙ্গে বল দখলের লড়াই চালাতে গিয়ে তার মুখেও হাত চালান নেইমার। ফলাফল হলুদ কার্ড। এর ঠিক এক মিনিট পরই পেনাল্টি আদায়ের জন্য বক্সের ভেতর ইচ্ছে করেই ডাইভ দেন নেইমার। তার এই প্লে এক্টিং চোখ এড়ায়নি রেফারির। তিনি সাথে সাথে হলুদ ও লাল কার্ড বের করেন।
লাল কার্ড পেয়ে রেফারির চোখে চোখ রেখে নেইমারকে কথা কাটাকাটি করতেও দেখা যায়। তাতে কী? রেফারি তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। এই নিয়ে পাঁচবারের মতো লিগ ওয়ানে লাল কার্ডের দেখা পেলেন নেইমার।
নেইমারের লাল কার্ডে অবশ্য তলানির দলের বিপক্ষে বিপদেই পড়ে যায় পিএসজি। লিগ ওয়ানের শীর্ষ দলটি ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কায় একের পর এক আক্রমণ করেও সুবিধা করতে পারছিল না। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে পেনাল্টি থেকেই ব্যবধান ২-১ করে দলকে স্বস্তি এনে দেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে।