পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চিরবিদায় নিলেন ব্রাজিলের সাবেক বিশ্বকাপ ফুটবল তারকা জে কার্লোস। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। সাও পাওলো এফসির হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলতেন তিনি, কার্লোসের মৃত্যুর খবর তাদের পক্ষ থেকেই প্রথমে জানানো হয়।
ক্লাবের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে সাও পাওলো এফসি আজ শুক্রবার জানাচ্ছে যে জোসে কার্লোস ডি আলমেইদা, জে কার্লোসের মৃত্যু হয়েছে।’ মৃত্যুর কারণ নির্দিষ্ট করা হয়নি, তবে স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে যে তার মৃত্যু কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে হয়েছে।
জে কার্লোস ১৯৯৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে যাওয়া ব্রাজিল দলের অংশ ছিলেন। তাকে ফ্লাভিও কনসিকাওর বদলি হিসেবে ডাকা হয়েছিল। টুর্নামেন্ট চলাকালীন, তিনি গ্রুপ পর্বে এবং চিলি ও ডেনমার্কের বিপক্ষে নকআউট ম্যাচের সময় একজন অব্যবহৃত সাবস্টিটিউট ফুটবলার হিসেবে বেঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। ব্রাজিলের হয়ে তিনি একমাত্র নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলেছিলেন। তিনি সাসপেন্ডেড খেলোয়াড় কাফুর জায়গায় খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই ম্যাচ পেনাল্টিতে জিতেছিল ব্রাজিল। জে কার্লোস ফাইনালে রিজার্ভ বেঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে ব্রাজিল ফ্রান্সের কাছে ৩-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল।
তিনি ২০০৫ সালে পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছিলেন, কার্লোস জাতীয় দলের হয়ে শুধুমাত্র একটি ম্যাচই খেলেছিলেন। জে কার্লোস ১৪ অক্টোবর ১৯৬৭ সালের ১৪ অক্টোবর সাও পাওলোর প্রেসিডেন্ট বার্নার্ডসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালে তার ফুটবল জীবন শুরু করেন।
এই ফুটবলার তার ক্যারিয়ারে সাও জোসে, ন্যাসিওনাল, সাও ক্যাটানো, পর্তুগেসা, ইউনিও সাও জোয়াও, সাও পাওলো, জুভেন্টুদে, মাটোনেন্স, পন্টে প্রেতা, গ্রেমিও এবং জয়নভিলের হয়ে খেলেছেন। তিনি শেষবার পর্তুগুয়েসার হয়ে খেলেছিলেন ২০০৫ সালের মে মাস পর্যন্ত।
এই ফুটবলারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে তার পুরোনো ক্লাব সাও পাওলো এফসির তরফে। এদিন একটি শোকবার্তা পোস্ট করা হয়েছে দলের অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। সেখানে জানানো হয়েছে, ‘১৯৯৭ সালে তিনি সাও পাওলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। ব্রাজিলের এই ক্লাবের হয়ে তিনি ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত খেলছেন। এই সময়কালে ৭২টি ম্যাচে ২ গোল করেছিলেন এই ডিফেন্ডার। এই ফুটবল ক্লাবের হয়ে একবার ট্রফিও জিতেছেন তিনি।’