চলতি বিপিএলে চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের নেতৃত্ব দেয়া হয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজকে। তার নেতৃত্বে টুর্নামেন্ট ভালই শুরু করেছিল বন্দর নগরীর দলটি। ঢাকার পর চট্রগ্রাম পর্বে গিয়ে মিরাজকে হুট করে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল টিম ফ্রাঞ্চাইজি।
এই নিয়ে দলের মধ্যে নানা সমালোচনার জন্ম হয়। এর পরের ঘটনা প্রবাহ ভালোভাবে নেয়নি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তাই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার ও ফ্র্যাঞ্চাইজিকে শুনানির জন্য ডাকে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা। শুনানিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ফ্রাঞ্চাইজি ও মিরাজ নিজদের কাছে দোষ তুলে নিয়েছেন।
সেখানে দুই পক্ষই নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় বিসিবি সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন বোর্ড পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
বিপিএলে এবার নিজেদের চার ম্যাচ শেষে আচমকা অধিনায়কত্বে পরিবর্তন আনে চট্টগ্রাম। মিরাজের জায়গায় গত শনিবার (২৯ জানুয়ারি) থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাঈম ইসলাম।
নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরদিন নানা ধোঁয়াশার মধ্যে টিম হোটেল ছেড়ে ঢাকায় চলে যেতে উদ্যত হন মিরাজ। দিনভর উত্তেজনার পর চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজির সত্ত্বাধিকারী রিফাত উজ জামানের হস্তক্ষেপে মেটে ঝামেলা।
সেই রাতে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দলের সঙ্গেই থাকছেন মিরাজ। ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রধান পরিচলন কর্মকর্তা সৈয়দ ইয়াসির আলমের সঙ্গে তার সমস্যা মিটে গেছে বলেও জানানো হয়।
চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজিতে অশান্তির আঁচ স্পর্শ করে বিসিবি কর্তাদের। তারা জানান, শুনানিতে ডাকা হবে সংশ্লিষ্টদের। গত বৃহস্পতিবার মিরাজ, রিফাত ও ইয়াসিরের বক্তব্য শোনেন বিসিবির একটি দল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব মল্লিক, বিসিবি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরি, বিসিবির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবু মোহাম্মদ হুমায়ুন মোর্শেদ ও বিপিএল টুর্নামেন্ট ইনচার্জ সাইফুল আমিন।
পরে বিসিবির পাঠানো বিবৃতিতে মল্লিক জানান, দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে তাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে সবাইকে।
তিনি আরও জানান, ক্রিকেটার ও ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বীকার করেছে, ফলাফলের কথা বিবেচনা না করেই তারা অযৌক্তিক আচরণ করেছিলেন। যোগাযোগের ঘাটতির কারণেই এটা হয়েছিল এবং সমস্যাটা দলের ভেতরেই বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে ঠিক করে নেওয়া উচিত ছিল। পুরো বিষয়টাকে এতো দূর বাড়তে দেওয়ায় তারা দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বোর্ড ও টুর্নামেন্টকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার দায় নিয়েছেন।
“খেলোয়াড় ও ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর বোর্ড বুঝতে পেরেছে, এটা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অভ্যন্তরীন সমস্যা এবং এর সমাধান হয়ে গেছে। আমরা বুঝতে পেরেছি, মিরাজকে নেতৃত্ব থেকে সরানো থেকেই ভুল বোঝাবুঝির শুরু। খেলোয়াড় ও ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তাদেরকে টুর্নামেন্টের প্রতি তাদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে বোর্ড।”