শুরুতে দুই ওপেনারের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ঝড় শুরু পায় নিউজিল্যান্ড। মাঝের ওভারে গতি একটু কমলেও শেষ পাঁচ ওভারে সেটা হয়েছে দ্বিগুন। ব্যাট হাতে বাংলাদেশি বোলারদের উপর তাণ্ডব চালিয়েছেন সুজি বেটস। এছাড়া ঝড়ো ক্যামিও খেলেছেন বার্নাডাইন ও গ্রিনও। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ১৯০ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার সুজি বেটস ও বার্নাডাইনের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের সব পরিকল্পনা। বেটসের চেয়ে বার্নাডাইন একটু বেশিই আগ্রাসি ছিলেন।
দুজনের তোপে পাওয়ার প্লেতে নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৪৯ রান। পাওয়ার প্লে শেষেও রানের গতি সচল রেখেছেন তারা। ইনিংসের ৯ম ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ২৬ বলে পাঁচ ৪৪ রান করা বার্নাডাইনকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে দলকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন স্বর্ণ আক্তার।
তবে তিনি ফিরলেও ততক্ষণে খোলস ছেড়ে বের হওয়া শুরু করেছেন বেটস। তিন নম্বরে নামা অ্যামেলিয়া কেরও শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১২.১ ওভারে দলীয় রান ১০০ পার হয় নিউজিল্যান্ডের।
এরপর ওই ওভারেই জোড়া ধাক্কা দেন ফাহিমা। ওভারের পঞ্চম বলে অ্যামেলিয়াকে ফেরানোর পর শেষ বলে শোপি ডিভাইনকেও দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড করেন তিনি। ১৩ বলে এক চারে ১৬ রান করেন অ্যামেলিয়া আর শোপি ফেরেন খালি হাতে।
টানা দুই বলে দুই উইকেট হারালেও সেটার চাপ পড়েনি নিউজিল্যান্ডের উপর। অন্যপ্রান্তে রানের গতি ঠিক সচল রেখেছেন বেটস। পাঁচ নম্বরে নামা গ্রিন শুরু থেকে তাণ্ডব চালানো শুরু করেন।
শেষ পাঁচ ওভারে বেটস আর গ্রিন মিলে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছেন। ১৯তম ওভারে বেটসকে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ, কিন্তু উইকেটরক্ষক শামিমা সুলতানা স্টাম্পিং মিস করে সুযোগ হাতছাড়া করেন।
১৫ ওভারে ১৩০ থেকে শেষ পাঁচ ওভারে নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৫৯ রান। বেটস অপরাজিত ৬১ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৮১ রান করেন এবং ২০ বলে সাত চারে ৪৪ রান করেন গ্রিন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৮৯ রানের সংগ্রহ পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।