ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে পাত্তায় পায়নি সফরকারী নিউজিল্যান্ড। এরপর প্রত্যাবর্তনের দারুণ গল্প লিখে কিউইরা সিরিজে সমতা ফেরায়। এই জয়ের কারণে ইংলিশদের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। ট্রেন্ট ব্রিজে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। কিন্তু কিউইরা রান তাড়া করতে নেমে ১৬ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয়। এই জয়ে ২–২ ব্যবধানে সিরিজ ড্র তে শেষ হয়।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও উইল জ্যাকসের শুরুটা দুর্দান্ত ছিল। পাওয়ারপ্লেতে বিনা উইকেটে ৬৩ রান তোলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার। ১৬ রান করা উইল জ্যাকসকে সপ্তম ওভারে তুলে নেন কিউই স্পিনার ইশ সোদি। বেয়ারস্টো অন্য প্রান্তে ৪১ বলে ৬ ছক্কা ও ৫ চারে ৭৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে মিচেল স্যান্টনারের বলে আউট হন।
বেয়ারস্টোর বিদায়ের পর স্কোর বোর্ডে ৩৫ রান যোগ করতেই ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। শেষের দিকে ফিনিশিংও ভালো হয়নি স্বাগতিকদের ৫ ওভারে ৩৮ রান তুলতে ৫ উইকেট হারায় তারা। এতে করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৬ রানের টার্গেট দেয় নিউজিল্যান্ডকে। ৩০ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন স্যান্টনার।
ব্লাক ক্যাপসরা মাঝারি রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে তারা পাওয়ারপ্লেতে তোলে ৭৩ রান। ৬ বলে ১৬ রান করা ওপেনার ফিন অ্যালেন মার্ক উডের বলে আউট হন। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জুটিতে ড্যারিল মিচেল ও টিম সেইফার্ট যোগ করেন ২৭ বলে ৫৩ রান। এই জুটি ভাঙে ১৪ করে মিচেল রান আউট হলে। এরপর ওপেনার সেইফার্ট ৪৮ রান করে নবম ওভারে উইকেট দেন ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার রেহান আহমেদকে। নিউজিল্যান্ড এখান থেকে ম্যাচটা জিতেছে দুটি জুটিতে ভর করে।
চতুর্থ উইকেটে মার্ক চাপম্যান ও গ্লেন ফিলিপসের ৩৫ বলে ৫৮ এবং চাপম্যান–রচিন রবীন্দ্রের ২০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৮ রানের জুটিতে সহজ জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। ২৫ বলে ৪২ রান করেন ফিলিপস। চাপম্যান অপরাজিত ছিলেন ২৫ বলে ৪০* রান নিয়ে। ১৭৫ রান করে সিরিজ সেরার পুরস্কার ওঠে জনি বেয়ারস্টোর হাতে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে চার ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অংশ নেবে ইংল্যান্ড–নিউজিল্যান্ড।