ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপূণ্য দেখিয়ে ওয়েলিংটনে প্রথম ওয়ানডে ৯ উইকেটে জিতে ৩ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। প্রতিপক্ষকে মাত্র ১৭৮ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে নিজেরা ১৪২ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কিউইরা।
দারুণ এক স্পেলে শুরু করেন কিউই পেসার ম্যাট হেনরি। পরে প্রতিপক্ষের মিডল ও লোয়ার অর্ডারেও আঘাত হানলেন এই গতিময় পেসার। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে দুইশর আগে গুটিয়ে দিতে অবদান রাখলেন জ্যাকব ডাফি ও ন্যাথান স্মিথ। পরে রান তাড়ায় সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড।
বেসিন রিজার্ভের সবুজাভ উইকেটে ৬ ওভারের প্রথম স্পেলে মাত্র ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন হেনরি, যেখানে প্রথম ৫ ওভারে তিনি রান দেন মাত্র ৬। পরে আরও তিন শিকার ধরেন তিনি। ইনিংস শেষে তার বোলিং বিশ্লেষণ, ১০-১-১৯-৪। পেসার ডাফি ও স্মিথ নেন দুটি করে উইকেট।
লক্ষ্য কম হওয়ার কারণেই অল্পের জন্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি করতে পারেননি উইল ইয়াং। ১২ চারে ৮৬ বলে ৯০ রানে অপরাজিত থাকেন নিউজিল্যান্ড ওপেনার। রাচিন রাবিন্দ্র ১ ছক্কা ও ৬ চারে ৩৬ বলে করেন ৪৫ রান।
কন্ডিশনের সহায়তা কাজে লাগাতে টস জিতে বোলিং নেন স্যান্টনার। কিউই তিন পেসারের তোপে ২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে লঙ্কানরা।
ম্যাচের পঞ্চম ওভারে পাথুম নিসাঙ্কাকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন হেনরি। পরের ওভারে কুসাল মেন্ডিসের স্টাম্প ভেঙে দেন ডাফি। স্যান্টনারের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউটে কাটা পড়েন কামিন্দু মেন্ডিস। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাকে রানের খাতা খুলতে দেননি স্মিথ।
খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান আভিশকা ফার্নান্দো ও জানিথ লিয়ানাগে। তাদের ৮৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু পরপর দুই ওভারে থিতু দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ফের চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা।
১ ছক্কা ও ৪টি চারে ৩৬ রান করা লিয়ানাগেকে ফিরিয়ে জমে যাওয়া যুগলবন্দি ভাঙেন স্যান্টনার। পরের ওভারে ১ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৬ রান করা আভিশকাকে ড্রেসিং রুমে পাঠান স্মিথ।
দেড়শ অতিক্রম করে শ্রীলঙ্কা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও চামিকা উইক্রামাসিংহের ৪৮ রানের জুটিতে। পরপর দুই ওভারে এই দুইজনকে ফিরিয়ে দেন হেনরি। অভিষিক্ত ইশান মালিঙ্গাও তার শিকার। আর আসিথা ফার্নান্দোকে কট বিহাইন্ড করে প্রতিপক্ষের ইনিংস গুটিয়ে দেন ডাফি।
লক্ষ্য তাড়ায় ইয়াং ও রাবিন্দ্রর ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় নিউজিল্যান্ড। তাদের ৯৩ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ফাটল ধরান উইক্রামাসিংহে। ফ্লিক করে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন রাবিন্দ্র।
৪৯ বলে ফিফটি ছোঁয়া ইয়াংয়ের সঙ্গে মার্ক চ্যাপম্যানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৮৭ রানের জুটিতে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। ৩ চারে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন চ্যাপম্যান।
হ্যামিল্টনে দুই দলের দ্বিতীয় ওয়ানডে আগামী বুধবার।