২৬৬ রানে ৮ উইকেটে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের মনে আশা জেগেছিল দিনের শুরুতেই শেষের দুই ব্যাটসম্যানকে আউট করে দিয়ে লিডটা নিজেদের করে নেওয়া। তবে, সে গুড়ে বালি। নিউজিল্যান্ড অলআউট হল ঠিকই তার আগে তারা বাংলাদেশের চেয়ে করে গেল ৭ রান বেশি। বাংলাদেশের করা প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড অলআউট হওয়ার আগে করেছে ৩১৭ রান। টাইগাররা পিছিয়ে আছে ৭ রানে।
তৃতীয় দিনে ব্যাটিং করতে নামার আগে কিউইরা বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে ছিল ৪৪ রানে। তাদের হাতে ছিল মাত্র ২ উইকেট। তাও ছিল কোনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যান। তাই বাংলাদেশে লক্ষ্য ছিল দিনের শুরুতে তাড়াতাড়ি শেষ দুই উইকেট তুলে নেওয়ার। কারণ টাইগাররা ভালোই জানে স্বল্প লিডও সিলেটের এই পিচে হতে পারতো সাইকোলজিক্যাল অ্যাডভান্টেজ।
কিন্তু ৩য় দিন দেখেশুনে ব্যাট চালিয়েছেন দুই টেলএন্ডার ব্যাটার কাইল জেমিসন এবং টিম সাউদি। নিউজিল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন লিড। ২৬৪ রানে ৮ম উইকেট পতনের পর নবম উইকেটে এই দুজন গড়েছেন ৫২ রানের জুটি। তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছিল বাংলাদেশের।
এই জুটি ভাঙার জন্য বাংলাদেশ অধিনায়ক তৃতীয় দিন সকাল থেকেই একে একে আক্রমণে আনেন তিন স্পিনার আর এক পেসারের সবাইকে। তবে উইকেট তো দূরে থাক ন্যূনতম চাপটাও সৃষ্টি করতে পারে নি টাইগার বোলাররা। বরং ধৈর্য নিয়ে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের হতাশাই বাড়িয়েছেন জেমিসন-সাউদি।
তবে, শেষ পর্যন্ত পার্ট টাইমার মুমিনুল হকের দারস্ত হন টাইগার অধিনায়ক আর তাতেই সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ। তার প্রথম শিকার ২৩ রান করা কাইল জেমিসন। ম্যাচের ১০১.১ ওভারে মুমিনুলের হালকা সুইংয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি এই পেসার। আউট হয়েছেন এলবিডব্লিউতে। ভাঙে ৫২ রানের জুটি। একই ওভারের পঞ্চম বলে প্রায় একই ডেলিভারিতে বোল্ড করেছেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদিকে। আউট হওয়ার আগে সাউদি করেন ৩৫ রান। অবশ্য ৭ রানের লিড নিয়েই থামল কিউইরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩১০/১০ (৮৫.১ ওভার)
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩১৭/১০ (১০১.৫ ওভার)
নিউজিল্যান্ড এগিয়ে ৭ রানে