আগামী মার্চে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরবর্তী টি-টোয়েন্টি সিরিজে নাজমুল হোসেন শান্ত যে বাংলাদেশের অধিনায়ক থাকছেন না, তা নিশ্চিত। ঐ সিরিজে অধিনায়ক কে হবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
শান্তর নেতৃত্বগুণ নিয়ে তেমন প্রশ্ন ওঠেনি। তবে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তিনি তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হওয়ার থেকে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে টি-টোয়েন্টি নিয়ে। শান্তর ব্যাট হাতে নানা ব্যর্থতা এবং স্ট্রাইকরেট টি-টোয়েন্টির সঙ্গে খাপ খাচ্ছিল না কিছুতেই।
সমালোচনার মুখে গত অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের সময় শান্ত জানান, তিনি কোনো ফরম্যাটেই আর অধিনায়কত্ব করতে চান না। কিন্তু বিসিবি তাকে ছাড়তে চায়নি।
এর আগে, চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ছিটকে পড়েন শান্ত। টেস্ট আর ওয়ানডেতে মেহেদী হাসান মিরাজ এবং টি-টোয়েন্টিতে দলকে নেতৃত্ব দেন উইকেটকিপার লিটন কুমার দাস।
অবশেষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন শান্ত। বিসিবির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, শান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তিনি আর টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব দিতে চান না। বিসিবি যদি চায়, টেস্ট এবং ওয়ানডে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন। তার এই ইচ্ছায় সম্মতি জানিয়েছে বিসিবিও।
হাতে অবশ্য অনেক সময় আছে। তাই বিসিবি এখনই নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করছে না। তবে কে হচ্ছেন টি-টোয়েন্টিতে নতুন অধিনায়ক, সেটি অনুমান করা যাচ্ছে। লিটন দাসের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি–টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। সব ঠিক থাকলে লিটনই হচ্ছেন পরবর্তী অধিনায়ক।
আলোচনায় মেহেদী হাসান মিরাজের নাম থাকলেও টি–টোয়েন্টি দলে তার জায়গাটাই নিয়মিত নয়। এছাড়া তাসকিন আহমেদের কথাও এসেছে অনেকবার। কিন্তু চোটপ্রবণ হওয়ায় এবং তিন ফরম্যাটেই খেলা তাসকিনকে আপাতত ভাবনার বাইরে রাখতে হচ্ছে। আর অধিনায়ক হিসেবে সবশেষ সিরিজে লিটনের সাফল্য আসলে বিকল্প ভাবনার পথও রুদ্ধ করে দিয়েছে।