বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে অবহেলিত খেলোয়াড় হলেন ইমরুল কায়েস। এক সময়ে টেস্টে তিনি ছিলেন অপরিহার্য ওপেনার। জাতীয় দলে মনে রাখার মতো অনেক ইনিংস এসেছে ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে। তারপরও ২০১৯ সালের পর টেস্ট দলে তার আর ডাক পড়েনি। আর সেটার কারণ সকলের কাছে অজানা।
অবজ্ঞা আর অবহেলার শিকার ইমরুল কায়েস অবশেষে পছন্দের ফরম্যাট টেস্টকে বিদায় বলে দিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার একইসঙ্গে অবসর নিয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকেও।
বুধবার নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ইমরুল কায়েস। তিনি লিখেছেন, ‘বিদায় টেস্ট ক্রিকেট। আপনাদের ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞ।’
৩৮ ছুঁইছুঁই ইমরুলের টেস্ট ক্যারিয়ার ছিল মিশ্র পারফরম্যান্সের। টেস্টে তার অভিষেক হয় ২০০৮ সালের নভেম্বরে। প্রায় ১১ বছর দেশের হয়ে ৩৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। ৩টি সেঞ্চুরি ও ৪টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ২৪.২৮ গড়ে ইমরুল করেছেন ১৭৯৭ রান। কিন্তু প্রায় ৫ বছর তার আর টেস্ট দলে স্থান হয়নি। বাংলাদেশ দলের ওপেনিং জুটিতে সবসময়ই সমস্যা থাকার পরও ইমরুলকে চোখে পড়েনি নির্বাচমন্ডলীর। যেখানে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু নিজেই তার চোখ ধাধানো ক্যারিয়ারে কখনো টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি। সেই নান্নুই কৃতি ওপেনার ইমরুলকে টেস্ট দলের জন্য যোগ্য মনে করেননি। নতুন প্রধান নির্বাচক হয়েছেন গাজী আশরাফ লিপু। সাবেক অভিজ্ঞ ব্যাটার লিপুও ইমরুলের প্রতি সুবিচার করলেন না। ফলে অনেকটাই অভিমান নিয়ে অবসরে গেলেন ইমরুল।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটি ১৫০ রানের। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া সেই টেস্টে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ৩১২ রানের জুটি গড়েছিলেন ইমরুল। তামিম করেন ডাবল সেঞ্চুরি।