• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
বিপিএল

বৃথা নাসিরের লড়াই, রোমাঞ্চকর জয়ে প্লে অফে রংপুর


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩, ১০:৪৯ পিএম
বৃথা নাসিরের লড়াই, রোমাঞ্চকর জয়ে প্লে অফে রংপুর

জিতলেই প্লে অফ নিশ্চিত এমন ম্যাচে বোলারদের দাপটে ঢাকা ডমিনেটরসকে মাত্র ১৩০ রানে আটকে রেখেছিল রংপুর রাইডার্স। সেই রান তুলতে শুরুতেই জোড়া উইকেট হারানো রংপুরকে জয়ের পথে নিয়ে গিয়েছিলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও রনি তালুকদার।

তবে এরপর অধিনায়ক নাসির হোসেনের বোলিং তোপে দ্রুত উইকেট হারানো রংপুরের সামনে এক পর্যায়ে হারের শঙ্কা উঁকি দিচ্ছিল। তবে চার উইকেট নিলেও শেষ পর্যন্ত ঢাকাকে জেতাতে পারেনি। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় খেলায় ঢাকার বিপক্ষে রংপুরের জয় এসেছে দুই উইকেটের ব্যবধানে।

এই জয়ে চতুর্থ দল হিসেবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে প্লে অফ নিশ্চিত করলো নুরুল হাসান সোহানের দল। একই সাথে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল ঢাকা ডমিনেটরস ও চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের।  

টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই রানআউট হয়ে ফিরে যান ঢাকা ডমিনেটরসের ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুন। তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক নাসিরও এদিন ব্যর্থ, ফেরেন দলীয় আট রানে।

তিন রানের ব্যবধানে আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও ফিরে গেলে শুরুতেই চরম চাপে পড়ে ঢাকা। এরপর অ্যালেক্স ব্লেইক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন মিলে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন।

দলীয় ৪৯ রানে ব্লেইক ব্যক্তিগত ১৮ রানে ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। এরপর আরিফুল হক চেষ্টা করেছেন কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেনি। এরমধ্যে দলীয় ৬৭ রানে মামুন ৭৫ রানে মুক্তার আলি ফিরে যান। এ ম্যাচে মামুনের ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ রান।

দলীয় ১০৩ রানে ফেরার আগে ২৯ রানের ইনিংস খেলে ন আরিফুল। এছাড়া শেষ দিকে শরিফুলের ১৩ ও আমির হামজার ১৫ রানে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে আট উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা।

লক্ষ্য তাড়া করতে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় রংপুর। দারুণ এক ডেলিভারিতে রংপুরের ওপেনার নাঈম শেখকে উইকেটের পিছনে ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলাম।

এরপর দলীয় ৯ রানে শেখ মেহেদীকেও ফেরত পাঠিয়ে ঢাকাকে শুভসূচনা এনে দেন শরিফুল ইসলাম। ৯ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে দলকে চাপ থেকে উদ্ধার করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও রনি তালুকদার।

দুজনের ব্যাটিংয়ে রংপুরের রানের চাকা তরতর করে এগোতে থাকে। দলীয় ১০২ রানে জোড়া উইকেট হারায় রংপুর। এক বলের ব্যবধানে রনি ও সোহান ফিরে যান। রনির ব্যাট থেকে এ ম্যাচে এসেছে ৩৪ রানের ইনিংস।

৩১ বলে ফিফটি করা সোহান খেলেছেন ৩৩ বলে সাত চার ও তিন ছক্কায় ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। এরপরই যেন আসা যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত হয়ে পড়েন রংপুরের ব্যাটাররা।

৯ রানের ব্যবধানে ফিরে যান শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৫০০তম ম্যাচ খেলতে নামা শোয়েব ফেরান ব্যক্তিগত সাত রানে আর নওয়াজের ব্যাট থেকে আসে মাত্র এক রান।

জয় থেকে যখন মাত্র সাত রান দূরে তখন পরপর দুই বলে আরও দুই উইকেট হারায় রংপুর। শামিম পাটোয়ারি ও রকিবুলকে ফিরিয়ে ম্যাচে নিজের তৃতীয় ও চতুর্থ শিকার করেন ঢাকা অধিনায়ক নাসির হোসেন।

তিন ওভারে ১২ থেকে শেষ ওভারে জয়ের জন্য রংপুরের সামনে দাঁড়ায় পাঁচ রানের সমীকরণ। শেষ পর্যন্ত তিন বল বাকি থাকতে রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে রংপুরকে স্বস্তির জয় এনে দেন হারিস রউফ ও ওমরজাই।

Link copied!