বাংলাদেশের নাহিদা আক্তার নভেম্বর মাসে আইসিসির মাসসেরা নারী ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। গত মাসেও মনোনয়ন পেয়েছিলেন, কিন্তু নির্বাচিত হতে পারেননি। তবে এবার ঠিকই জিতে নিয়েছেন মাসসেরার পুরস্কার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দারুণ পারফরম্যান্স করে এই পুরস্কার জিতে নিলেন বাঁ হাতি এই স্পিনার। শুধু তা-ই নয়, এই পুরস্কার জেতা প্রথম বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে নাহিদা ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট। শেষটিতেও ২৬ রান দিয়ে নেন সমান উইকেট। মাঝখানে দ্বিতীয় ম্যাচ যখন সুপার ওভারে গড়ায়, তখন সেই ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। তার এমন পারফরম্যান্সে জিতে যায় দল।
পুরস্কার প্রসঙ্গে নাহিদা বলেন, “এ মুহূর্তটা মনে রাখার মতো। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ প্যানেলের কাছ থেকে এমন স্বীকৃতি পাওয়াটা বেশ বড় ব্যাপার এবং আইসিসি মাসসেরা নারী ক্রিকেটার পুরস্কার জেতাটা আমার প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।”
নাহিদা আরও বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে আমরা অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছি এবং দল হিসেবে যে সাফল্যের স্বাদ আমরা পেয়েছি, তাতে অবদান রাখতে পেরে আমি খুবই খুশি। আমার ওপর সব সময় আস্থা রাখার জন্য অবশ্যই কোচ, অধিনায়ক ও সতীর্থদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। এটাই আমাকে মানসম্পন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নিজের সহজাত খেলাটা খেলতে ও চাপের মুহূর্তে পারফর্ম করার সুযোগ করে দিয়েছে।”
জানা যায়, এই পুরস্কার জেতার লড়াইয়ে নাহিদার আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বাংলাদেশি ফারজানা হক পিংকি। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ১১০ রান করেন তিনি। শেষ ম্যাচে ৬২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলকে জেতান পিংকি। দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৪০ রান।
পাকিস্তান সিরিজ না জিতলেও বোলিংয়ে দুর্দান্ত ছিলেন দলটির সাদিয়া ইকবাল। প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে নেন ২ উইকেট। তিন ম্যাচে ১২.৫০ গড় ও ওভারপ্রতি ২.৫৮ রান খরচায় নিয়েছেন ৬ উইকেট। ফারজানার মতো তিনিও প্রথমবার মাসসেরার মনোনয়ন পেলেও হেরে যান নাহিদার কাছে।