এবারের আইপিএলের প্রথম দিকে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় শীর্ষেই ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। অবশ্য পরে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পারেননি। চাহাল, বুমরাহ আর মোস্তাফিজ—পার্পল ক্যাপের দৌড়ে এখন চলছে ত্রিমুখী লড়াই।
৪ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের দৌড়ে তিনে থেকে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন মোস্তাফিজ। পার্পল ক্যাপ পুনরুদ্ধারে তার দরকার ছিল ৩ উইকেট। অবশ্য এদিন খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি টাইগার পেসার। খরুচে বোলিংয়ের দিনে উইকেট পেয়েছেন একটি। অবশ্য ৫ ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করে ছুঁলেন দ্বিতীয় শীর্ষে থাকা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স পেসার জাসপ্রিত বুমরাহকে। উল্লেখ্য, ১১ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন যুজবেন্দ্র চাহাল।
ওয়াংখেড়ের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে বড় চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছিল মোস্তাফিজের জন্য। সে চ্যালেঞ্জে কার্যত ব্যর্থ হন টাইগার পেসার। ওভার প্রতি প্রায় ১৪ করে রান খরচ করেছেন। মুম্বাইয়ের ব্যাটারদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতেই ছিলেন ফিজ। নিজের কোটার ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়েছেন।
অবশ্য শুরুটা খুব একটা খারাপ ছিল না। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে মোস্তাফিজের জন্য বরাদ্দ ছিল ২ ওভার, শেষ পাওয়ার প্লে-তে ২ ওভার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্রথমবার বল তুলে নিয়ে উইকেটহীন ৮ রান খরচ করেছেন। এরপর ৫ম ওভারে তার ওপর চড়াও হয় ব্যাটাররা। ১৫ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পাননি।
দ্বিতীয় স্পেলে আক্রমণে এসে ১৭তম ওভারে প্রথম দুই বলে টিম ডেভিডের হাতে দুই ছক্কা হজম করেছেন। অবশ্য পরের বলে তাকে ফিরিয়ে আসরের দশম উইকেট শিকার করেছেন ফিজ। ওই ওভারে রান দিয়েছেন ১৯। ১৯তম ওভারটা ভালো হতে পারতো। তবে তিনটি ওয়াইড ডেলিভারি এবং শেষ বলে রোহিতের হাতে ছক্কা খাওয়ায় ৯ বলের ওভারে ১৩ রান খরচা করেছেন মোস্তাফিজ।
অবশ্য ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজের ওপরই অনেকটা নির্ভর করছিল চেন্নাইয়ের ভাগ্য। শেষ দুই ওভারে ধোনিদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪৭ রান। সেখানে ফিজ খরচ করেন ১৩ রান। একটু এদিক সেদিক হলে ম্যাচটা ফসকে যেতে পারতো। আইপিএলে ক্যারিয়ারে যুগ্ম বাজে বোলিং ফিগার এটি। ২০১৮ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষেও ৫৫ রান দিয়েছিলেন ফিজ। সে ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য।
১৩.৮০ ইকোনমি রেটে রান বিলিয়ে চেন্নাই বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজই সবচেয়ে খরুচে ছিলেন রোববার।