শেষ হলো নারী বিশ্বকাপ। যেখানে স্পেনের মাথায় বিশ্বফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। ফাইনালে উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে ইংল্যান্ডের হৃদয় ভেঙ্গে শিরোপা নিজেদের ঘরে তুললো স্পেন। এই বিশ্বকাপের শুরু থেকে যাদের নিয়ে কোন আলোচনায় ছিল না তারই হাসলো শেষ হাসি। শুধু বিশ্বকাপ ট্রফি না টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার সহ আরও বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে দলটির খেলোয়াড়রা।
এবারের নারী বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন আতিয়ানা বোনমাতি। বার্সেলোনা নারী দলের এই তারকা স্পেনের নক আউট পর্বে ওঠার ক্ষেত্র বেশ অবদান রেখেছেন। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই গোল আর দুই অ্যাসিস্ট করে অনেকটাই একাই দলকে তুলেছেন নকআউটে। আর কোস্টারিকার বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেও গোল করেছেন তিনি।ফাইনালের লড়াইয়ে গোল না পেলেও ইংল্যান্ডকে আটকে রাখার প্রধান কারিগর তিনি। তাই তার হাতেই উঠেছে বিশ্ব আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার।
গোল্ডেন বুট পেয়েছেন জাপানিজ মিডফিল্ডার হিনাতা মিয়াজাওয়া। সুইডেনের কাছে হেরে জাপান কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায় নিলেও শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হিনাতা। টুর্নামেন্টে মোট পাঁচ ম্যাচ খেলে ৫ গোল করেছেন এই জাপানিজ মিডফিল্ডার।
ফাইনালের মঞ্চে মেরি ইয়ার্পস না থাকলে হয়তো বিশ্বকাপের আশাটা আরও আগেই শেষ হয়ে যেতো ইংল্যান্ডের। পেনাল্টি ঠেকানো তো ছিলই, তা ছাড়াও ফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ ৫-৭টা সেইভ দিয়েছেন মেরি। পুরো টুর্নামেন্টেও ছিল তার প্রতিচ্ছবি। তাই টুর্নামেন্ট শেষে সেরা গোলরক্ষকের গোল্ডেন গ্লাভস পুরষ্কার গেছে তার হাতে।
স্পেনের ফরোয়ার্ড সালমা পারায়উয়েল জিতেছেন টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরষ্কার। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচজয়ী গোল করার পর সেমিফাইনাল ম্যাচেও প্রথম গোলটি করেছেন বার্সেলোনার এই ফুটবলার। ১৮ নম্বর জার্সিধারী এই স্ট্রাইকারের বয়স ১৯ বছর।