বাংলাদেশ নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে আসর কাটিয়েছে ২০২৩। লিগ পর্বে সাকিব আল হাসানের দলের ৯ ম্যাচে জয় কেবল দুটি। এবারের আসরে প্রতিপক্ষ দলগুলোর চোখে চোখ রেখে লড়াই পর্যন্ত করতে পারেনি টাইগাররা। ভারত বিশ্বকাপে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করেছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বমঞ্চে তিন বিভাগেই ব্যর্থ টিম টাইগার। তবে সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্সের কারণ ব্যাটারদের ব্যর্থতা। বিশ্বকাপ শেষে ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতার পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়রা দেশে স্পোর্টিং উইকেটে খেলার আশার কথা জানিয়েছিলেন। এবার ভালো উইকেটে খেলার ইচ্ছার কথা জানালেন বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয় মোসাদ্দেক। সেখানে এই ক্রিকেটার বলেন, “আসলে আধুনিক ক্রিকেট এখন অনেক বদলে গেছে। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া টেস্টেও দেখবেন অনেক ইনটেনসিটি থাকে। ব্যাটাররা স্ট্রাইকরেট ঠিক রেখেই খেলার চেষ্টা করে। ওয়ানডে এখন টি-টোয়েন্টির মত হয়ে গেছে প্রায়। ম্যানেজমেন্ট হয়ত এসব মাথায় রেখেই কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেভাবেই উন্নতি করার চেষ্টা করছে।”
শান্ত ও হৃদয়রা ভালো উইকেটের খেলার কথা জানিয়েছিলেন বিশ্বকাপ শেষে। এবার একই সুর মোসাদ্দেকের কণ্ঠেও। ভালো উইকেটে খেলার তাগিদ দেন এই ক্রিকেটারও। মোসাদ্দেক বলেন, “ভালো উইকেটগুলোতে খেললে প্রতিদিন ৪০০ না হলেও ৩২০-৩০ রান হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার মত দল যারা অনেক ভালো খেলেছে তারা কিন্তু আবার নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছে। উইকেট অনেক বড় ফ্যাক্ট। সেখানে ৩২০-৩০ রান করা এবং রান তাড়া করার সক্ষমতা থাকতে হবে।”
মোসাদ্দেক আরও বলেন, “উইকেট অনেক ভালো হতে হবে। বগুড়ায় আমাদের টাইগার্স ক্যাম্প হয়েছিল, সেখানের উইকেটে আমার কাছে মনে হয়েছে ব্যাটারদের শট খেলার সুযোগ থাকে, স্কিলে উন্নতি আনা যায়। খারাপ উইকেটে খেললে ব্যাটারদের অনেক লিমিটেশন চলে আসে। অনেক শট খেলা যায় না। তখন উইকেট ভালো হলে ব্যাটাররাও অনেক শট খেলতে পারে, রান করতে পারে। বোলাররাও রান ডিফেন্ড করতে পারে ভালো উইকেটে।“