প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগে বুধবার বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে তীব্র লড়াই করে ৪-৩ গোলে জয়ী হয় ঢাকা মোহামেডান। তাতে ক্লাবে আনন্দ-উল্লাসই হওয়ার কথা। কিন্তু পারিশ্রমিক না পাওয়ার কষ্টে দলটির খেলোয়াড়রা যখন ক্লাব ছেড়ে চলে যান, তখন দৃশ্যপট বদলে যায়।
মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে পুলিশকে হারিয়ে মোহামেডান হকি লিগে তাদের ষষ্ঠ জয় পায়। এর কয়েক ঘণ্টা পর খবর আসে, দলটির খেলোয়াড়রা ক্লাব ছেড়ে চলে গেছেন।
অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি অবশ্য ক্লাবে থাকেন না। পুরান ঢাকার নিজ বাড়িতে থাকেন। জিমি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, সতীর্থদের ক্লাব ছাড়ার বিষয়টি।
জিমি বলেন, দলের অধিনায়ক হিসেবে আমার দায়িত্ব খেলোয়াড়দের সঠিক পরিচালনা করা। সেই দায়িত্ব আমি পালন করছি। তবে রুটি-রুজির ব্যাপারে তো আমার কোনো হাত নেই। এটা দেখবেন ক্লাবের কর্তারা। খেলোয়াড়রা যার যার মতো ক্লাব-ক্যাম্প ছেড়ে চলে গেছে। এখানে আমার কিছু করার নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমনিতে লিগ নিয়মিত হয় না। ২ বছর ৩ বছর পর পর লিগ হয়। এটাই আমাদের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন। এখন এই টাকাটাও যদি আমরা ঠিকঠাক না পাই, খেলার আগ্রহ কী থাকে?’
পারিশ্রমিক বকেয়া থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহামেডান হকি দলের ম্যানেজার ও সাবেক তারকা খেলোয়াড় আরিফুল হক প্রিন্সও।
তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোচিং স্টাফদেরও বকেয়া রয়েছে। বিদেশি খেলোয়াড়রা সম্পর্ক ও সম্মানের খাতিরে নিজেরা বিমান ভাড়া দিয়ে এসেছেন। তাদেরও সম্মানী দিতে পারিনি। এতদিন কষ্ট করে নিজে চালিয়ে গেছি। এখন আর আমার পক্ষে সম্ভব না। ক্লাবের শীর্ষ কর্তারা যদি টাকা পয়সা দিয়ে খেলোয়াড়দের ফেরাতে পারেন, তাহলেই তারা খেলবে।’