ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগে মোহামেডান-আবাহনীর মধ্যকার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ০-২ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থা থেকে একপর্যায়ে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। এমন অবস্থায় দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন খেলোয়ড়কে শাস্তি প্রদান করে আম্পায়ার।
এতে প্রতিবাদে খেলতে অস্বীকৃতি জানায় মোহামেডান। তখন আবাহনীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। ফলে মেরিনার্স ইয়াংস ও আবাহনীর পয়েন্ট সমান হয় যায়। বাইলজ অনুযায়ী প্লে-অফ ম্যাচে শিরোপা ভাগ্য নির্ধারিত হওয়ার কথা।
ঘটনায় মোহামেডানের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন ক্লাবের কর্মকর্তারা। রোববার সংবাদ সম্মেলনে সে অন্যায়ের বিষয়ে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের কর্তকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোহামেডানের ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী ফিরোজ রশীদ, ক্লাবের সাবেক তারকা প্রতাপ শঙ্কর হাজরা, পরিচালক সারোয়ার হোসেন, হকি ম্যানেজার আরিফুল হক প্রিন্স। তারা এবারের লিগে নানাভাবে মোহামেডানের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। বিষয়গুলো পর্যালোচনার মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণে ক্রীড়ামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, মাঠ ও মাঠের বাইরে আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে সকল প্রতিবাদের জবাব দেওয়ার সুযোগ ছিল না।
প্রতাপ শঙ্কর হাজরা বলেন, অতীতে হকি কার্যক্রমে নানা জটিলতা থাকলেও বাইলজ অবমাননা কখনো করা হয়নি। এবার একেক ম্যাচে একেক আইন প্রয়োগের মতো ঘটনা ঘটেছে। কি কারণে এমনটা হল? আমি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের কাছে জবাব চাই। হকি বাঁচাতে সরকারি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।