ওয়েস্টহাম থেকে রেকর্ড ট্রান্সফারে আর্সেনালে যোগ দিলেন বৃটিশ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস। ব্রিটিশ গণমাধ্যমের দাবী সবচেয়ে দামি ব্রিটিশ খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড গড়লেন এই মিডফিল্ডার। তার চুক্তির পরিমাণ ১০৫ মিলিয়ন পাউন্ড।
এর আগে ইংলিশদের হয়ে সবচেয়ে দামি ট্রান্সফার খেলোয়াড় ছিলেন জ্যাক গ্রিলিশ। ২০২১ সালে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে অ্যাস্টনভিলা থেকে তাকে কিনে নেন ম্যানচেস্টার সিটি।
রাইসের এই ফি অবশ্য সব ব্রিটিশ রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। জানুয়ারিতে বেনফিকা থেকে ১০৬.৮ মিলিয়ন পাউন্ডে চেলসিতে যোগ দেওয়া আর্জেন্টাইন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ ট্রান্সফার।
ব্রিটিশ গণমাধ্যমের দাবী রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে যোগ দিলেও, কোনো ক্লাবই রাইসের চুক্তি ফি কত সে সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
পাঁচ বছরের চুক্তিতে এমিরেটস স্টেডিয়ামে পাড়ি জমিয়েছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। আর্সেনালের ওয়েবসাইটে রাইস বলেছেন, “ফুটবলে চমৎকার অনেক সুযোগ আসে, যেগুলোকে সময়মতো কাজে লাগাতে হয়। আর্সেনালের মতো বড় ক্লাবে খেলার সুযোগ আমার সামনে এসেছে এবং এটা অস্বীকার করা সত্যিই কঠিন। তুমি কেবল একটি ক্যারিয়ারই পাবে। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি মিকেল আর্তেতা এই ক্লাবটিকে দারুনভাবে গড়ে তুলেছেন। আর্সেনালের ভবিষ্যতের দিকে আমি সত্যিই তাকিয়ে আছি।”
গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার খুব কাছে গিয়েও ম্যানচেস্টার সিটির কাছে তা হারাতে হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করা দলটি এবারের গ্রীষ্মে ট্রান্সফার মার্কেটে ইতোমধ্যেই ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করে ফেলেছে।
আর্সেনালের তারুণ্য নির্ভর এই দলটির ভবিষ্যত বেশ উজ্জ্বল বলেই বিশ্বাস করেন রাইস।
এ সম্পর্কে রাইস বলেন, “আমি জানি এখানকার সমর্থকরা কী চায়। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি এখানে আরও বেশি সাফল্যের আশায় এসেছি, একটি সেরা ক্লাবে সেরা কিছু মুহূর্ত কাটাতে এসেছি। আর্তেতা আমাদের সবার মাঝ থেকে সেরাটা বেছে নিতে প্রস্তুত। আমিও নিজের খেলা এখানে আরও উন্নত করতে চাই।”
১৪ বছর বয়সে চেলসি থেকে ছাড়া পেয়ে ওয়েস্ট হ্যামে যোগ দিয়ে রাইস ২৪৫ ম্যাচ খেলেছেন।