২০১৮ সালে মেজর লিগ সকারে ইন্টার মায়ামি যাত্রা শুরু। ক্লাবের বয়স ৫ বছর হয়ে গেলেও কোনো শিরোপা তারা জিততে পারেনি। অবশেষে লিওনেল মেসির হাত ধরে প্রথম শিরোপা ঘরে তুললো তারা। লিগস কাপের ফাইনালে ন্যাশভিলকে টাইব্রেকারে ১০-৯ গোলে হারিয়ে মেসিরা প্রথম শিরোপার স্বাদ নিলো।
এই ম্যাচের আগে দুই দল আটবার মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে ন্যাশভিলের ৪ জয়ের বিপরীতে ইন্টার মায়ামি জিতেছে ২টি। ড্র হয়েছে অন্য দুটি ম্যাচ। তাই পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে মেসিরাই পিছিয়ে ছিল। আর্জেন্টাইন ক্ষুদে জাদুকর মাঠে নামা নামেই মায়ামি হট ফেভারিট। রোববার (২০ আগস্ট) প্রতিপক্ষের মাঠ জিওডিস পার্কে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়।
লিগস কাপের আগের ৬ ম্যাচে মায়ামির প্রথম গোলের দেখা পেয়েছে ম্যাচ শুরু ১৫ মিনিটেই। তবে ফাইনালে প্রথম গোলের জন্য তাদের একটু অপেক্ষা করতে হয়। ম্যাচে ২৩ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সের বাইরে থেকে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের বাঁ পায়ের বুলেট গতি শট ন্যাশভিল গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে জড়ায়। এলএমটেনের আমেরিকান ক্লাবটির জার্সিতে ১০তম গোলে মায়ামি ১-০ গোলের লিড পায়। এই ১ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ হয়।
ন্যাশভিল ১ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু করে। তবের দ্বিতীয়ার্ধে তাদের বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি। ম্যাচে ৫৭ মিনিটে ন্যাশভিলের খেলোয়াড় ফাফা পিকোল্ট গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। এরপর দুই দলই আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে ম্যাচ জিমিয়ে তোলে। তবে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে দুই দল আর গোল পায়নি। ফলে সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।
টাইব্রেকারে ম্যাচ রোমঞ্চকর হয়ে ওঠে। মায়ামির হয়ে প্রথম শট নেন দলের অধিনায়ক মেসি। তিনি স্পটকিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি। এরপর দুই দলই প্রথম ৫ শট থেকে একটি করে শট মিস করে। এরপরে একটা একটা করে শট নিতে থাকে শেষ পর্যন্ত দুই দলের ১১ জন খেলোয়াড়ই শট নেন। তবে ১১ নম্বর শটে মায়মির গোল কিপার গোল করতে পারলেও ন্যাশভিলের গোলকিপার গোল করতে পারেনি। তাতেই মেসিরা লিগস কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে যান।
৭ ম্যাচে ১০ গোল করে আসরের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ওঠে মেসির হাতে। লিগস কাপ জিতে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ডে ছাড়িয়ে গেছেন সাবেক সতীর্থ দানি আলভেসকে। এটি তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের ৪৪তম শিরোপা।