লিগস কাপে চমক দেখিয়ে যাচ্ছে ইন্টার মায়ামি। পরপর চার ম্যাচে জিতে ক্লাবটি এখন কোয়ার্টারফাইনালে। আর এই চার ম্যাচেই জয়ের নায়ক হয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা লিওনেল মেসি। যেখানে টানা তিন ম্যাচে মেসি করেছেন জোড়া গোল।
এই ম্যাচে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড প্রথম বারের মতো প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নামে। অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল করতে দেরি করেননি লিও। ম্যাচের ৬ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন। মায়ামি লিড পেয়ে আরও বেশি আক্রমণান্তক হয়ে ওঠে। এর মধ্যে ৩৭ মিনিটে ডালাসের ফাকুন্দো কুইগনো গোল করে দলকে সমতায় ফেরান।
সমতায় ফেরার পর ডালাসের লিড নিতে বেশি আপেক্ষা করতে হয়নি। এবার ৪৫ মিনিটে বার্নার্ড কামুনগোর গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় এফসি ডালাস। প্রথমার্ধে ১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মেসিরা।
বিরতি থেকে ফিরে ডালাস আক্রমণের ধার বাড়ায়। তাদের আক্রমণ মায়ামি ডিফেন্স বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেনি। ৬৩ মিনিটে আর্জেন্টাইন উইঙ্গার আলান ভালেসকো গোল করে ম্যাচ থেকে এলএমটেনদের ৩-১ গোলে পিছেয়ে দেন। এই সময় মনে হচ্ছিলো লিগস কাপ থেকে বিদায় নিতেই হচ্ছে মায়ামিকে। কিন্তু এর পরেই শুরু হলো মেসি ম্যাজিক।
ম্যাচের ৬৪ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে মেসির বাড়ানো বল ধরে আলবা পাস দেন বেঞ্জামিন ক্রিমাশ্চিকে তিনি বল পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি। তার গোলে মায়ামি ব্যবধান কমান।
ম্যাচের ৬৮ মিনিটে রবার্ট টেলর নিজের জালে বল জড়িয়ে দিয়ে ম্যাচ থেকে মেসিদের আবারও পিছিয়ে দেন। এই গোলে স্কোর সিট হয় ৪-২।
এরপর ম্যাচের ৮০ মিনিটে এলএমটেনের ফ্রি কিকে ডালাসের মার্কো ফারফান হেড দিয়ে আত্মঘাতী গোল করেন। ব্যবধান নেমে আসে ৪৩- গোলে।
ম্যাচে নির্ধারিত সময় শেষের ৫ মিনিট আগে আবার ডি বক্সের সামনে ফ্রি কিক পায় ইন্টার মায়ামি। এবারও দলকে বাঁচাতে ত্রাতা হয়ে আসেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ৮৫ মিনিটি দারুণ ফ্রি কিকে গোল করেন তিনি। এরপর আর দুই দলের কোনো গোল না হলে ৪-৪ গোলে ম্যাচ শেষ হলে লিগস কাপের নিয়ম অনুযায়ী অতিরিক্ত ৩০ মিনিট বাদ দিয়েই টাইব্রেকারের মাধ্যমে ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয়।
তাতে সফল ছিলেন প্রত্যেকেই। কেবল নিজেদের ২য় শটে গোল মিস করেন ডালাসের প্যাক্সটন পমিক্যাল। আর সেটাই ছিল দুই দলের ব্যবধান। টাইব্রেকে ৫-৩ গোলের এই জয় ইন্টার মায়ামিকে নিয়ে গিয়েছে লিগ কাপের শেষ আটে।
আগামী ১১ আগস্ট কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে মায়ামি।