আর্জেন্টিনা এমনই এক দল, ফুটবলে যাদের ফিরে আসতে সময় নিতে হয় না। আগের ম্যাচে প্যারাগুয়ের কাছে হেরেছিল ২-১ গোলে। মাত্র এক ম্যাচ পরই জয়ে ফিরলো বর্তমান বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। পেরুকে হারিয়ে দিলো ১-০ ব্যবধানে।
বুয়েনস এইরেসে বুধবার সকালে পেরুর বিপক্ষে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লাউতারো মার্টিনেজ। তাকে অ্যাসিস্ট করেন আটবারের ব্যালন ডি’অর খেতাবজয়ী লিওনেল মেসি।
এই গোলে অবদান রেখে নিজেদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মেসি ও মার্টিনেজ। আর্জেন্টাইনদের একমাত্র গোল শোধ করতে না পেরে দশ দলের লাতিন আমেরিকা বাছাইয়ের টেবিলের তলানিতে এখন পেরু। অন্যদিকে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা।
মার্টিনেজকে গোলে সহায়তা করে নেইমারকে ছাড়িয়ে গেছেন মেসি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৫৮তম অ্যাসিস্ট করে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে টপকে গেছেন তিনি। এর আগে ব্রাজিলের জার্সিতে ৫৭বার গোলে সহায়তা করেছিলেন নেইমার।
এই ম্যাচে আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছেন মেসি। এরআগে সর্বোচ্চ ৫৮ অ্যাসিস্টের রেকর্ড এককভাবে নিজের করে রেখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের লান্ডন দোনোভান। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারের ৩৭৯তম অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি।
দলের প্রয়োজনে মার্টিনেজ যে আর্জেন্টিনার ত্রাণকর্তা হয়ে আসেন, তা প্রমাণিত হলো আরও একবার। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৩২তম গোল করে দলকে জেতালেন তিনি। পেরুর বিপক্ষে গোল করে আর্জেন্টিনার সর্বকালের সর্বোচ্চ ৫ গোলদাতার তালিকায় জায়গা পেলেন মার্টিনেজ। ছুঁয়ে ফেললেন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনাকে। ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার হয়ে ৩২ গোল করেছিলেন ম্যারাডোনা।