জাতীয় দল, ক্লাব অথবা ব্যক্তিগত কোনো জায়গাতেই লিওনেল মেসির অর্জনের কোনো কিছু বাকি নেই। মেসির জীবনের সব থেকে বড় আক্ষেপের নাম ছিল বিশ্বকাপ না জেতা। সেই আক্ষেপও ঘুচে গিয়েছে কাতার বিশ্বকাপে। মেসি এরপরই সিদ্ধান্ত নেন ফুটবলে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয় তিনি এখন থেকে খেলবেন শুধুই উপভোগের জন্য। তাই জুলাইয়ে উইরোপের প্রতিদ্বন্দ্বি লিগ ছেড়ে পাড়ি জমান আমেরিকার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস)। এই লিগে মেসির দাম ৩৫ মিলিয়ন ইউরো। তিনি এই লিগে আসার পর মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে সব থেকে দামি ফুটবলার হয়ে যান।
এমএম টেন ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে রীতিমত উড়ছে দলটা। লিগে যে ক্লাব টানা ১১ ম্যাচ হেরেছিল লিও আসার পর তারা টানা ৯ ম্যাচ জিতেছে। এখন পর্যন্ত হারের মুখ দেখেনি মেসি। এর মধ্যে লিগস কাপ জিতে আর্জেন্টাইন ক্ষুদে যাদুকর মায়ামিকে প্রথম শিরোপা এনে দিয়েছেন। আরও দলকে ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে পোঁছে দিয়েছে এই ফুটবলার। মেসি ইন্টার মায়ামিতে আসার পর যে শুধু ডেভিড বেকহ্যামের দলেরই লাভ হয়েছে তেমনটা না।
মেসি ইফেক্ট পড়েছে গোটা এমএলএস লিগেে এবং আমেরিকার ফুটবলে। আগে যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের মধ্যে ফুটবল নিয়ে তেমন কোনো মাতামাতি ছিল না। এলএম টেন আসার পর আমেরিকানদের ফুটবল নিয়ে মাতামাতি বেড়েছে বহুগুণ। এখন তো মেজর লিগের খেলায় স্টেডিয়ামে কানায় কানায় পূর্ণ থাকে দর্শক দিয়ে। মেসির ম্যাচের টিকিট নিয়ে চলে কাড়াকাড়ি। টিকিট ছাড়ার মাত্র ১০ মিনিটেই বিক্রি শেষ হয়ে যাওয়ার রেকর্ড গড়ে লিগটা। যার কারণে মেসি ইফেক্টে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে মেজর লিগ সকার।
৩৬ বছর বয়সী মেসি আমেরিকার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হবেন এটাই তো স্বাভাবিক। ট্রান্সফারমার্কেটের তথ্য অনুযায়ী, ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে ইন্টার মায়ামির মূল্য ৯০ দশমিক ৬ মিলিয়ন ইউরো। যার মধ্যে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের দামই ৩৫ মিলিয়ন ইউরো।
মেজর লিগ সকারে এক দশকে অনেক নামি দামি ফুটবলারা খেলে গিয়েছেন। থিয়েরি অঁরি, আন্দ্রে পিরলো, দাভিদ ভিয়া, জলাতান ইব্রাহিমোভিচ ও ডেভিড বেকহ্যামের মতো কিংবদন্তিরা এই লিগে মাঠ কাঁপিয়েছেন। কিন্তু কারও `মার্কেট ভ্যালু` মেসির চেয়ে বেশি ছিল না। বর্তমানেও যুক্তরাষ্ট্রের লিগে কেউ নেই মেসির থেকে দামি খেলোয়াড়। এই লিগে বর্তমানে দামি ফুটবলার মেসি। যার মূল্য ৩৫ মিলিয়ন ইউরো। ২৭ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লিওর আর্জেন্টাইন তরুণ সতীর্থ থিয়াগো আলমাদা। এই তালিকয় তৃতীয় স্থানে আছেন ১৫ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে সেবাস্তিয়ান দ্রিউসি। ১ মিলিয়ন ইউরো সেবাস্তিয়ানের থেকে কম নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছেন ফাকুন্দো তোরেস। হানি মুক্তার, রিকি পুগ, তায়েস মাগনো সবারই মূল্য ১২ মিলিয়ন ইউরো করে।