তিনি এমনিতেই তো আর আটবার ব্যালন ডি-অর শিরোপা লাভ করেননি। লিওনেল মেসি ফুরিয়ে যাননি, বরং, দিনে দিনে যেন তরুণ হয়ে ফিরছেন। গত সপ্তাহে লাতিন আমেরিকা বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাইপর্বের ম্যাচে বলিভিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন মেসি। সেই প্রতিচ্ছবি ফের দেখা গেল। রোববার সকালের এক ম্যাচে মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক করলেন তিনি।
মেসি এবার হ্যাটট্রিক করেছেন নিজের ক্লাব ইন্টার মিয়ামির হয়ে। আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর হ্যাটট্রিকের সুবাদে এমএলএসে (মেজর লিগ সকার) প্রতিপক্ষ নিউ ইংল্যান্ড রেভ্যুলেশনকে ৬-২ গোলে হারিয়েছে মিয়ামি।
এই জয়ে এমএলএসের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড করেছে মিয়ামি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতাটির আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে মৌসুম শেষ করেছে তারা।
শীর্ষে থাকা মিয়ামি চলতি মৌসুম শেষ করেছে ৩৪ ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে। এমএলএসের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ পয়েন্ট। এর আগে ২০২১ সালে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে মৌসুম শেষ করেছিল নিউ ইংল্যান্ড। অর্থাৎ নিউ ইংল্যান্ডকে হারিয়েই তাদের রেকর্ড ভেঙেছে মিয়ামি।
নিজেদের মাঠে এদিন ৫৭ মিনিটে মাঠে নামেন মেসি। মিয়ামির হয়ে শেষ তিনটি গোল করেন আজেন্টাইন সুপারস্টার। মেসি সবগুলো গোল করেন ৭৮ মিনিট থেকে ৮৯ মিনিটের মধ্যে।
উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ মিয়ামির হয়ে প্রথম দুটি গোল করেন। ৪০ ও ৪৩ মিনিটে নিউ ইংল্যান্ডের জাল কাঁপান তিনি। উরুগুয়ের তারকার দুটি অ্যাসিস্টও আছে এই ম্যাচে। মিয়ামির বাকি এক গোল করেন বেঞ্জামিন ক্রিমাচি (৫৮ মিনিটে)।
নিউ ইংল্যান্ডের হয়ে দুটি করেন লুকা ল্যাঙ্গনি (২ মিনিটে) ও দায়লান বোরেরো (৩৪ মিনিটে)।
এবারই প্রথম এমএলএসে পূর্ণ মৌসুম শেষ করেছেন মেসি-সুয়ারেজ জুটি। পুরো মৌসুমে দুজনই করেন ২০টি করে গোল। মেসি খেলেন ১৯ ম্যাচ। অন্যদিকে ২৭ ম্যাচ খেলেছেন সুয়ারেজ।