কাতার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের শেষ ষোলোতে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার। এই ম্যাচের মাধ্যমে ক্লাব ও জাতীয় দলে হাজারতম ম্যাচ খেলার কৃতিত্ব অর্জন করবেন লিওনেল মেসি। শনিবার রাতে আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে মেসির আর্জেন্টিনা। দেখা যাক, হাজারতম ম্যাচ রাঙাতে পারেন কী না দলের অধিনায়ক।
৩৫ বছর বয়সী মেসি ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন, এটিই হবে তার শিরোপা জয়ের শেষ সুযোগ। লা আলবিসেলেস্তেকে কোপা আমেরিকার শিরোপা এনে দিয়েছেন ২০২১ সালেই। সেই সাথে একটি বড় শিরোপা পাওয়ার জন্য তাদের ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান করেছেন।
১৬ অক্টোবর, ২০০৪ সাল। ১৭ বছর বয়সী মেসি বার্সেলোনার নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলের বিপক্ষে বার্সেলোনার ১-০ গোলের ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে বদলি হিসেবে নামেন। সেই থেকে শুরু। জাতীয় দলে মেসির অভিষেক হয়েছিল ২০০৫ সালে, ১৮ বছর বয়সে।
মেসি ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময়ই ক্যাম্প ন্যুতে কাটিয়েছেন। তার ১৭ মৌসুম কেটেছে এখানে। তিনি বার্সার হয়ে ৭৭৮ ম্যাচ খেলেছেন। ৬৭২ গোল করেছেন এবং ২৬৫টি গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন। যার মানে ৯৩৭টি সরাসরি গোলে তার অবদান ছিল।
তিনি অন্য যে কোনো প্রতিপক্ষের চেয়ে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে বেশি ম্যাচ খেলেছেন। বার্সার সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৪৭ বার খেলেছেন। তবে বার্সেলোনা তাদের ভয়াবহ আর্থিক পরিস্থিতির কারণে মেসিকে নতুন চুক্তির প্রস্তাব দিতে অপারগতা জানিয়ে পিএসজির দিকে ঠেলে দেয়। মেসি এখন পর্যন্ত প্যারিসের দলটির হয়ে ৫৩ ম্যাচ খেলে ২৩ গোল পেয়েছেন।
সেই প্রথম ম্যাচ খেলার প্রায় ১৮ বছর এবং ৪৮ দিন পরে ক্লাব এবং দেশের হয়ে ১০০০ নম্বর ম্যাচ খেলতে নামবেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের মোকাবেলা করবে মেসিবাহিনী।
মেসি বিশ্বকাপের আগের ২২টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। এখানে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন আর্জেন্টিনা খেলোয়াড় ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি খেলেছেন ২১ ম্যাচ। বিশ্বকাপে তিনি আট গোল করেছেন এবং ছয়টি গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন। মেসি এখনও বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে গোল করতে পারেননি।
মেসি দেশের হয়ে ১৬৮ ম্যাচ খেলেছেন। গোল পেয়েছেন ৯৩টি। এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন হ্যাভিয়ের মাসচেরানো। তার ম্যাচ সংখ্যা ১৪৭টি।