লিওনেল মেসি আর রেকর্ড যেন পাশাপাশি চলে। নিজের দেশে ফিরে এসেছেন ৩৩৩ দিন পর। মেসির জন্য এই ফেরা ছিল বিশেষ কিছু। সেটাকে স্মরণীয় করে রাখলেন দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করে। বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকে শেষ– সবটাই ছিল ‘মেসিম্যানিয়া’। নিজে করেছেন ৩টি গোল। আর সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ২টি।
৬-০ গোলের এই জয়ে আর্জেন্টিনা নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছে। মেসির এই রেকর্ড গড়ার দিনে আর্জেন্টিনার স্কোরশিটে নাম লিখিয়েছেন লাউতারো মার্তিনেজ, হুলিয়ান আলভারেজ এবং থিয়াগো আলমাদা। মার্তিনেজ ও আলভারেজের গোলে অ্যাসিস্ট ছিল মেসির।
ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলে অবদান এখন মেসির। ১৮৭২ সালে ফিফার হিসেবে প্রথম অফিসিয়াল ম্যাচ খেলেছিল স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। তখন থেকে পার হয়েছে ১৫২ বছর। আর বুধবারের আর্জেন্টিনা-বলিভিয়া ম্যাচের মধ্য দিয়ে গোল অবদানের ক্ষেত্রে আগের সব রেকর্ড ছাড়ালেন মেসি। ক্যারিয়ারে তার গোল ৮৪৬ আর অ্যাসিস্ট ৩৭৭টি। সবমিলিয়ে ১ হাজার ২২৩ গোলে অবদান ছিল আর্জেন্টাইন এই মহাতারকার। অফিসিয়াল ম্যাচের হিসেবে এটিই সর্বোচ্চ।
৩ গোল আর ২ অ্যাসিস্ট করে ১৫ বছর আগের এক ঘটনা পুনরায় ফেরালেন মেসি। সবশেষ কনমেবল অঞ্চলের বাছাইপর্বে একই ম্যাচে হ্যাটট্রিক ও ২ অ্যাসিস্ট ছিল হোয়াকিন বোতেরোর। ২০০৯ সালে বলিভিয়ার এই তারকা এমন কিছু করেছিলেন আর্জেন্টিনারই বিপক্ষে।
ম্যাচের শেষে সেই পুরাতন স্মৃতি নিয়েও আলাপ করেছেন মেসি। তবে জানালেন, ১৫ বছর আগের ম্যাচের প্রতিশোধ এই ম্যাচ এমন ভাবনা নেই তার মাঝে। বরং নিজের ক্যারিয়ারের শেষের দিকের এই ম্যাচগুলোই উপভোগ করাই তার মূল লক্ষ্য।
তবে মেসির সবচেয়ে বড় রেকর্ড এসেছে তার হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে। ক্যারিয়ারের ৫৮তম হ্যাটট্রিকের দেখা পাওয়া লিওনেল মেসি জাতীয় দলের জার্সিতে পেয়েছেন নিজের ১০ম হ্যাটট্রিক। জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিকের রেকর্ড এখন মেসির। অবশ্য এতে ভাগীদার আছেন একজন। অবধারিতভাবেই সেই নামটা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। রেকর্ডের দুই বরপুত্র এখন ভাগাভাগি করছেন জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিকের রেকর্ড।