আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসিকে নিয়ে গত ম্যাচে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। ইনজুরিতে মাঠের বাইরে থাকলেও প্রতিপক্ষের ড্রেসিংরুমে গিয়ে উত্তেজনার বশে কড়া কথা শুনিয়ে এসেছিলেন । সেটা নিয়ে আবার কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশও করেছিলেন মন্টেরের কোচ। সেই মন্টেরের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয়েছিল ইন্টার মায়ামি।
এবার মাঠে ছিলেন মেসি। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ হয়নি। বরং মন্টেরির মাঠে গিয়ে ১-৩ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয়েছে মায়ামিকে। কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে ইন্টার মায়ামির যাত্রা শেষ হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালেই। প্রথম লেগে ১-২ গোলে হারে মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ২-৫ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিয়েছে মেসির দল।
শুরু থেকেই বলের দখল নিয়ে মাঝমাঠে প্রভাব বাড়াতে চেয়েছিল মায়ামি। তবে কাউন্টার অ্যাটাকে মন্টেরেই এগিয়ে ছিল। মায়ামির গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডারকে বেশ কয়েকবার পরীক্ষায় ফেলেছিল মেক্সিকোর ক্লাবটি।
ম্যাচের ২৫ মিনিটের মাথায় গোলের সেরা সুযোগ আসে। তবে মেসির নেয়া চিপ শট চলে যায় বারের ঠিক ওপর দিয়ে। এর খানিক পরেই লিড নেয় মন্টেরি। মায়ামি গোলরক্ষক ক্যালেন্ডারের ভুলেই গোল পায় তারা। সতীর্থকে পাস দিতে গিয়ে তিনি বল তুলে দেন মন্টেরে স্ট্রাইকার ব্রান্ডন ভাসকুয়েজের পায়ে। বাকি কাজটা সহজেই করেছেন ভাসকুয়েজ।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে সুয়ারেজ গোল করলেও তা বাতিল হয় অফসাইডের কারণে।
বিরতির পর প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেছিল মায়ামি। মেসির ওপরেই ছিল প্রত্যাশা। যদিও এই আর্জেন্টাইন তারকা হতাশ করেছেন দলকে। বিপরীতে ৫৭ মিনিটে গেরমান বেরটেরমের ডিবক্সের বাইরের থেকে নেওয়া শটে লিড বাড়ায় মন্টেরে।
৬৪ মিনিটে গোল করে মায়ামিকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন গালার্দো। তিন গোলে পিছিয়ে পড়া মায়ামির জন্য বড় আঘাত হয়ে আসে জর্দি আলবার লাল কার্ড। তবু ৮৫ মিনিটে একটা গোল করে মায়ামিকে সান্তনার গোল এনে ডিয়াগো গোমেজ।