২০১২ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ২০১৪ সালের আসরে বিদায় নিল সবার আগে। ঘোর অমানিশার সেই সময়ে দলের অধিনায়ক হন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’র হাত ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুসময়ের শুরু।
প্রথমবার বিশ্বকাপের (২০১৫) কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা এবং আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠার মতো কৃতিত্ব দেখিয়েছিল বাংলাদেশ দল মাশরাফির নেতৃত্বেই। ২০১৮ সালেই রাজনীতিতে সক্রিয় হন মাশরাফি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় এসে প্রথমবারের মতো বিতর্কিত হয়েছিলেন সেখানেই। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। রেহাই পায়নি মাশরাফির নড়াইলের বাড়িটি। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে সেখানেও। তবে এমন কিছুর জন্য বিচার চাইবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
মাশরাফির বক্তব্য, ‘নড়াইলের বাড়িটা করেছিলাম মায়ের জন্য। এখন শেষ। অনেকেই বলেছেন মামলা করতে, ব্যবস্থা নিতে। ছবি-ভিডিও সবই আছে অনেকের কাছে। তবে আমি বলেছি, এসব করব না। আমার বাবাকেও বলে দিয়েছি। এখনকার সরকার বা ভবিষ্যতে নির্বাচন করেও যে সরকার আসুক, কারো কাছেই বিচাই চাইব না। কোনো অভিযোগ নেই।’
দেশের এক গণমাধ্যমকে বুধবার জানালেন, ‘খুলনা-যশোর থেকে বা ঢাকার কেউ বাড়ি ভাঙেনি। নড়াইলের মানুষই পুড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিচার আমি চাইব না। নিজের ভাগ্য মেনে নিয়েছি। হয়তো কোনো ভুলের শাস্তি পেয়েছি। কষ্ট আছে অবশ্যই, তবে রাগ-ক্ষোভ নেই। আমার প্রতি কারও ক্ষোভ থাকলে, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’
তবে কোটা আন্দোলনের সময় থেকে নীরবতার জন্য অনুতপ্তও মাশরাফি, ‘দেশের একটা ক্রাইসিস মুহূর্তে পাশে থাকতে পারিনি, কিছু করতে পারিনি, এটা আমাকে সবসময়ই ভোগাবে, পোড়াবে।’