আজ থেকে ৩৮ বছর আগে, ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে জেতা দিয়েগো ম্যারাডোনা সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন গোল্ডেন বল। সেই বল নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় ফ্রান্সের নিলামকারী প্রতিষ্ঠান আগুত। কিন্তু প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির পরিবার এতে বাধা দেয়।
তাদের দাবি ছিল, ট্রফিটি চুরি গেছে। তাই এই ট্রফি নিলামে তোলার কোনো অধিকার নেই তার বর্তমান মালিকের। যার জেরে মামলাও করেন ম্যারাডোনার উত্তরাধিকারীরা।
তবে সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছেন ফরাসি আদালত। বৃহস্পতিবার তাদের আইনজীবী বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন এ কথা।
নিলাম বন্ধ করতে ম্যারাডোনার পরিবার একটি জরুরি বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। তবে তাদের আইনজীবী জিলেস মোরেউ দ্য এপিকে বলেন, আদালতের রায় ম্যারাডোনার উত্তরাধিকারীদের পক্ষে আসেনি। ফলে আগামী বৃহস্পতিবার ট্রফিটি প্যারিসে নিলামে তুলবে নিলামকারী প্রতিষ্ঠানটি।
আর্জেন্টিনার মহানায়কের গোল্ডেন বলের অনেক বছর ধরেই হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। কীভাবে নিখোঁজ হলো, সেটাও কেউ জানে না।
কিংবদন্তির মৃত্যুর সাড়ে তিন বছর পর হারিয়ে যাওয়া সেই গোল্ডেন বল হঠাৎ করেই আলোচনায়। নিলামকারী প্রতিষ্ঠান আগুত গোল্ডেন বল ফিরে পাওয়ার ঘোষণা দিয়ে জানায়, সেটি নিলামে তোলা হবে।
এরই মধ্যে ম্যারাডোনার দুই মেয়ে বলে, গোল্ডেন বল ট্রফিটি চুরি গিয়েছিল। ট্রফিটি নিলাম থেকে সরিয়ে নিতে তারা প্যারিসের কাছাকাছি ন্যানতেরে বিচারিক আদালতকে জরুরি অনুরোধ জানান। চুরি ও চুরির পর ট্রফিটি লুকিয়ে রাখার জন্য আলাদা করে অভিযোগও করেন তারা।
তবে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান আগুত জানায়, ২০১৬ প্যারিসে একটি ব্যক্তিগত সংগ্রহশালার নিলাম থেকে অন্য জিনিসপত্রের সঙ্গে ম্যারাডোনার ছিয়াশির বিশ্বকাপের গোল্ডেন বলও পুনরায় পাওয়া গেছে।
২০২০ সালের নভেম্বরে ৬০ বছর বয়সে মারা যান ম্যারাডোনা। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। ম্যারাডোনা জেতেন গোল্ডেন বল।
কেউ কেউ দাবি করেন, পোকার খেলায় এটি ম্যারাডোনা হারিয়েছেন কিংবা ঋণ পরিশোধে বেচে দিয়েছেন। তবে অনেকের দাবি, নেপলসের একটি ব্যাংকে ম্যারাডোনা তার গোল্ডেন বল ট্রফিটি রেখেছিলেন। কিন্তু ১৯৮৯ সালে স্থানীয় দুষ্কৃতকারীরা ব্যাংকটি লুট করে।
আদালতের রায় পক্ষে আসার পর ৬ জুন অনুষ্ঠিত হবে এই নিলাম। নিলামে অংশগ্রহণকারীদের বলা হয়েছে দেড় লাখ ইউরো জমা দিয়ে তারপর নিলামে অংশ নিতে।