চলতি মাসে হঠাৎ ইতালির জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন রবার্তো মানচিনি। তার চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পেছনে গুঞ্জন ছিল, তিনি সৌদি আরবের কোচ হবেন। অবশেষে সেই গুঞ্জনই সত্যই হলো।
ইতালি কোচের চাকরি ছাড়ার দুই সপ্তাহ পরেই সৌদি আরবের জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব নিলেন মানচিনি। দেশটির সঙ্গে ইতালির সাবেক কোচের চার বছরের চুক্তি হয়েছে। ইতালিয়ান গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বছরে ২৫ মিলিয়ন ইউরো বেতন পাবেন ৫৮ বছর বয়সী এই কোচ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বর্তমানে ফুটবল বিপ্লব চলছে। সেই বিপ্লবে শামিল হলেন এবার মানচিনি।
রোববার (২৭ আগস্ট) সৌদি ফুটবল ফেডারেশন মানচিনিকে নিয়ে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে। এই কোচ বলেন, “আমি ইউরোপে ইতিহাস গড়েছি, এখন সৌদির হয়ে ইতিহাস গড়ার পালা। সৌদি আরবের কোচ পদে প্রস্তাব পেয়ে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।”
মানচিনি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি নতুন একটি দেশে ফুটবলের অভিজ্ঞতা নেওয়ার দারুণ একটি সুযোগ এটি, বিশেষ করে এশিয়ার মতো মহাদেশে যেখানে ফুটবলের জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান। সৌদি প্রো লিগে শীর্ষ খেলোয়াড়দের উপস্থিতি জাতীয় দলের উন্নতির সম্ভাবনাকে ইঙ্গিত করে।”
২০১৮ সালে ইতালির প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন মানচিনি। দেশটির ফুটবলের দায়িত্ব নেওয়ার বছরেই রাশিয়া বিশ্বকাপের মূলপর্বে যেতে ব্যর্থ হয় ইতালি। ১৯৫৮ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মূলপর্বে যেতে ব্যর্থ হয় চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। বিশ্বকাপে জায়গা না পেলেও ২০২০ সালে দেশকে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা এনে দেন তিনি। কিন্তু এরপরে কাতার বিশ্বকাপেও জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয় ইতালি। এরপর উয়েফা নেশন্স লিগের ট্রফি না জিতলেও এই টুর্নামেন্ট দলকে তৃতীয় স্থানে নিয়ে যান। তার হাত ধরেই আজ্জুরিরা ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে।
মানচিনির সঙ্গে ইতালির ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি ছিল। তাকে নিয়ে ২০২৪ সালের ইউরো খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল আজ্জুরিরা তখনই এই ঘোষণা দেন মানচিনি।
সৌদি আরবের ডাগআউটে ইতালির সাবেক কোচের অভিষেক হবে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর কোস্টারিকার বিপক্ষে। পরের ম্যাচ ১২ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে তার শিষ্যরা। দুটো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে নিউক্যাসলের সেন্ট জেমস পার্কে।