নিজেদের মাঠেই ভারতীয় র্যাটাররা ঠিকমতো খেলতে পারছে না বিদেশি স্পিনারদের। নিউজিল্যান্ডের কাছে টানা দু’টি টেস্টে রোহিতরা পরাজিত হওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোরালো হচ্ছে পূজারা-রাহানেদের দলে ফেরানোর দাবি।
ক্রিকেটপ্রেমীদের আশঙ্কা, নিজেদের মাঠে যদি ভারতীয় দলের এই হাল হয়, তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে আর বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করে রয়েছে তাদের জন্য। সুতরাং, টেস্ট স্পেশালিস্টদের না ফেরালে ভাগ্যে কষ্ট রয়েছে রোহিতদের।
বেঙ্গালুরু টেস্টে ভারত কিউই পেসারদের সামলাতে হিমশিম খায়। তারা প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। পুণে টেস্টে কিউই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার একাই নাকানি-চোবানি খাওয়ান রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের।
পুণে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারত ১৫৬ রানে অলআউট হয়। স্যান্টনার একাই নেন ৭টি উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও রকমে আড়াইশোর কাছে পৌঁছায় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে স্যান্টনার নেন ৬টি উইকেট। অর্থাৎ, দুই ইনিংস মিলিয়ে একাই ১৩টি উইকেট নিয়ে ভারতীয় দলকে মাথা নত করতে বাধ্য করান স্যান্টনার।
সুতরাং, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, পরিস্থিতি পেসারদের সাহায্য করলেও ভারতের ব্যাটিং ইউনিট স্বচ্ছন্দ নয়। আবার স্পিন সহায়ক পরিস্থিতিতেও ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপ নড়বড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে রান করে চলা চেতেশ্বর পূজারাকে ভারতীয় দলে ফেরানোর দাবি খুবই জোরালো হয়ে উঠেছে ভারতীয় ক্রিকেটমহলে। পূজারা শেষ রঞ্জি ম্যাচেই ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। শেষ ১০টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে পূজারা ৪টি সেঞ্চুরি করেছেন। অল্পের জন্য একটি শতরান হাতছাড়া করেছেন তিনি। অন্যদিকে অজিঙ্কা রাহানেও কাউন্টিতে শতরান করেছেন এবং ইরানি কাপে ৯৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন।
নেটিজেনরা এক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলছেন। অনেকের দাবি, বয়সের কারণে পূজারাদের যেখানে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া হয়েছে, সেখানে রোহিত-কোহলি দিব্যি খেলে চলেছেন জাতীয় দলে। পূজারাদের থেকেও বেশি বয়সে রোহিত নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতীয় দলকে। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটে ফর্মে থাকা সত্ত্বেও জাতীয় দলে জায়গা হচ্ছে না পূজারার।
ভারতীয় দল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরপর ২টি টেস্ট হেরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের রাস্তা কঠিন করে তুলেছে। এবার তৃতীয় টেস্টেও যদি রোহিতদের হারের মুখ দেখতে হয়, তবে সন্দেহ নেই যে, ভারতীয় তারকাদের উপর আস্থা হারাবেন সমর্থকরা। সেক্ষেত্রে চেতেশ্বরদের বাদ দেওয়ার জন্য বিস্তর আক্রমণ হজম করতে হবে অজিত আগরকারদের।