নারী ক্রিকেটে বাংলাদেশ এমনিতেই অনেক পিছিয়ে। ক্রিকেটে নারীদের তো অভিজ্ঞতাই ছিল না। যখন পুরুষরা ওয়ানডে ও টেস্ট স্ট্যাটাস পায়, তখন তো নারী ক্রিকেট দলই গঠিত হয়নি। এরপরও যতটা এগিয়েছে তা যথেষ্ট।
আমাদের আশা ছিল, বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপ নারী ক্রিকেটের মূলপর্বে সরাসরি খেলবে। কিন্তু, সেটা যে প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত তাই সত্যি হলো। বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের মূলপর্বে যেতে হলে এখন বাছাইপর্বের বাঁধা অতিক্রম করতে হবে।
শুক্রবার রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে পরাজিত হওয়ায় সরাসরি বিশ্বকাপে যাওয়া হলো না নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ৮ উইকেটে হারলেও দ্বিতীয়টিতে বাংলাদেশ ৬০ রানে জয়ী হয়।
তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে হেরে যায়। বাংলাদেশের মাত্র ১১৮ রানের জবাবে স্বাগতিক নারী ক্যারিবিয়ান দল ১৩৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে স্বাগতিক ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ড। বাকি দুটি দল বিশ্বকাপের টিকিট পাবে বাছাইপর্ব খেলে। যেখানে অংশ নিতে হবে বাংলাদেশকে। যেখানে বাংলাদেশ লড়বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, থাইল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তৃতীয় ম্যাচে হারালে বাংলাদেশ দল নারী ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপে ষষ্ঠ স্থানে থাকতে পারতো এবং সরাসরি খেলতো বিশ্বকাপে। বাংলাদেশের জায়গায় এখন নিউজিল্যান্ড ষষ্ঠ স্থান পেয়ে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে গেল।