একেই বলে ভাগ্য। পুরো ম্যাচে কোনো গোল নেই, ম্যাচও গড়াচ্ছিল গোলশূন্য ড্রয়ের দিকে। কিন্তু ৯০ মিনিট শেষে ইনজুরি সময়ের প্রথম ও তৃতীয় মিনিটে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। বদলি খেলোয়াড় দারউইন নুনিয়েজের জোড়া গোল নাটকীয়ভাবে লিভারপুলকে ২-০ গোলের জন্য এনে দিয়েছে। ঘরের মাঠে প্রায় পয়েন্ট পেতে গিয়েও হার নিয়ে ফিরল ব্রেন্টফোর্ড।
প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নেমে শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের ম্যাচে সফরকারী লিভারপুলই দাপুটে পারফরম্যান্স দেখাচ্ছিল। শুধু পাওয়া হচ্ছিল না কাঙ্ক্ষিত গোলটি। একের পর এক আক্রমণ শাণিয়ে ব্যর্থতা নিয়ে ফেরার আগমুহূর্তে ডেডলক ভাঙে লিভারপুল। দুটি গোলই করেছেন উরুগুইয়ান তারকা নুনিয়েজ। এ নিয়ে তিনি প্রিমিয়ার লিগে যোগ করা সময়ে ছয়টি গোল করলেন।
ম্যানচেস্টার সিটিকে আগের ম্যাচে ২-২ গোলে রুখে দেওয়া ব্রেন্টফোর্ড আজও ছিল একই পথে। শুরুর পঞ্চম মিনিটেই অবশ্য তারা এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায়। কিন্তু গোলমুখে একটি টোকা দরকার ছিল শেষ মুহূর্তে, সেটি করতে পারেননি তাদের ডেনিশ মিডফিল্ডার মিকেল। এরপর ক্রমাগত স্বাগতিকদের চেপে ধরে লিভারপুল। প্রথমার্ধেই গোলের জন্য ১৯টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে পাঁচটি। তবে সফল লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি আর্নে স্লটের দল।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই তালে খেলছিল দুই দল। ব্রেন্টফোর্ড চাপ সামলানোর চেষ্টার মাঝেই দুয়েকটা পাল্টা আক্রমণের সুযোগ খোঁজে। তবে কারোই ডেডলক ভাঙা হচ্ছিল না। লুইস দিয়াজের বদলে ৬৫ মিনিটে স্লট লিভারপুলের হয়ে নুনিয়েজকে নামান। শেষ পর্যন্ত তিনিই অলরেডদের নায়ক বনে গেছেন। নির্ধারিত মিনিটের শেষমুহূর্তে মোহামেদ সালাহ’র একটি শট বাইরে দিয়ে যায়। ফলে মনে হচ্ছিল গোলশূন্য সমতায় শেষ হবে ম্যাচটি।
তবে চোখের পলকে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের প্রথম পাস বাধা পায় ব্রেন্টফোর্ড রক্ষণে। এরই মাঝে নুনিয়েজসকে বল পেয়ে বক্সের ভেতর ডান পায়ের শটে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান। মিনিট দুয়েক পরই আবার তার গোল। সতীর্থের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তিনি নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান।
এই জয়ে ২১ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে অলরেডদের শীর্ষস্থান আরও মজবুত হলো। ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনাল দুই এবং ৪১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নটিংহ্যাম ফরেস্ট।