মাঠে ছিলেন না লিভারপুলের মূলদলের খেলোয়াড় মোহাম্মদ সালাহ, সবোস্লাই, নুনিয়েজ কিংবা ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ড। অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা আট তরুণের গলায় ঝুলছে ইংলিশ লিগ কাপ বা কারাবাও কাপ জয়ের মেডেল। রিজার্ভ দল আর অপেক্ষাকৃত তরুণদের নিয়েই ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে পূর্ণশক্তির চেলসিকে ১-০ গোলে হারাল লিভারপুল।
লিগ কাপে এটি লিভারপুলের দশম শিরোপা। মূল স্কোয়াডের ৯ জন যখন ইনজুরিতে, তখন অ্যাকাডেমির তরুণরাই ছিলেন লিভারপুলের ভরসা। যদিও ম্যাচটা তারা জিতেছে অধিনায়ক ভার্জিল ভ্যান ডাইকের গোলে। অলরেডদের অধিনায়ক সামনে থেকেই দিলেন জয়ের নেতৃত্ব।
লিভারপুলের আক্রমণভাগে লুইস দিয়াজের সঙ্গী ছিলেন কোডি গাকপো এবং হার্ভি এলিয়ট। ছন্নছাড়া ছিল মাঝমাঠ। ওয়াতারু এন্ডো এবং অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের সঙ্গী হলেন রায়ান গ্রাভেনবাচ। তবে এই ডাচ তারকাও ২৪ মিনিটের সময় মাঠ ছাড়লেন ইনজুরিতে। পূর্ণশক্তির চেলসি এই সুযোগেই চেপে বসে লিভারপুলের ওপর। প্রথমার্ধে একবার বল জালেও জড়ায় তারা। তবে সেটা ধরা হয়নি অফসাইডের কারণে।
লিভারপুলের আইরিশ গোলরক্ষক কাওমিন ক্যালাহগার ছিলেন অনবদ্য। প্রথমার্ধে কোল পালমারের ক্লোজ রেঞ্জের শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপরেই অলরেড ফরোয়ার্ড গাকপোর শট ফিরে আসে বারপোস্ট থেকে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম গোলের দেখা পায় লিভারপুল। অ্যান্ডি রবার্টসনের ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন অধিনায়ক ভ্যান ডাইক। তবে, সেই গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর গোল না হলে ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়ে। আর ম্যাচের সেরা সুযোগ এসেছিল এই সময়েই। ১১২ মিনিটে হার্ভি এলিয়টের হেড গোললাইন থেকে ফেরান চেলসির গোলরক্ষক। তবে মিনিট ছয়েক পর আর রক্ষা করা যায়নি। কস্তাস সিমিকাসের কর্ণারে মাথা ছুঁইয়ে লিভারপুলকে জয়সূচক গোল এনে দেন ভ্যান ডাইক।