১৯৬৩-৬৪ সালে জার্মানীর ফুটবল লিগ বুন্দেসলিগার যাত্রা হয়। এই এতো বছরে দলটি কখনো শিরোপার মুখ দেখেনি। এবার খুব সম্ভবত শিরোপা জয়ের আকাঙ্খা পূরণ হতে যাচ্ছে তাদের। চলতি মৌসুমের বুন্দেসলিগায় এখনও পর্যন্ত ২৩টি ম্যাচ খেলেছে সেই বায়ার লেভারকুসেন দল। একটিতেও হারেনি তারা। ৪টিতে ড্র করেছে। বাকি সবগুলোতে জয়। শুধু তাই নয়, সব ফরম্যাট মিলিয়ে টানা ৩৩টি ম্যাচ অপরাজিত থাকা লেভারকুসেন হয়তো এবারই প্রথম বারের মতো শিরোপা জেতার ইতিহাস গড়বে, স্বপ্নপূরণ হবে তাদের।
শুক্রবার রাতে মেইঞ্জকে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে ১১ পয়েন্টের ব্যবধান তৈরি করেছে চমক সৃষ্টিকারী লেভারকুসেন।
মেইঞ্জের বিপক্ষে জয়টি সহজ ছিল না লেভারকুসেনের জন্য। ঘরের মাঠে লেভারকুসেনের ডিফেন্ডাররা ছিল কিছুটা ছন্নছাড়া। মেইঞ্জের আক্রমণভাগকে বেশ কিছু সহজ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলো তারা। অবশ্য মেইঞ্জের গোলরক্ষক রবিন জেন্তনারের ভুলে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জাবি আলোনসোর শিষ্যরা।
আগের ম্যাচেই বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েছিলো লেভারকুসেন। বুন্দেসলিগা টেবিলে ২৩ ম্যাচ শেষে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকলো লেভারকুসেন। ২২ ম্যাচে বায়ার্নের পয়েন্ট ৫০। শনিবার রাতেই আরবি লেইপজিগের বিপক্ষে মাঠে নামবে জার্মানীর সবচেয়ে সফল দল বায়ার্ন।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল করেন লেভারকুসেনের গ্রানিত শাকা। তবে লিড নিলেও তা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি লেভারকুসেন। সপ্তম মিনিটেই সেই গোল পরিশোধ করে দেন মেইঞ্জের ফুটবলার ডমিনিক কোহর।
ম্যাচ ১-১ গোলে সমতায় থেকেই এগিয়ে যাচ্ছিলো। শেষ পর্যন্ত ৬৮ মিনিটে লেভারকুসেনের জয়সূচক গোল করেন রবার্ট অ্যান্ডরিখ। ৮০ মিনিটে গ্রানিত শাকাকে ফাউল করে জেসিক এনগানকাম লাল কার্ড দেখেন। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় মেইঞ্জ।
এভাবে খেলতে পারলে বুন্দেসলিগার শিরোপা তালিকায় নাম লেখাতে সমস্যা হবে না লেভারকুসেনের।