লাইপজিগের মাঠে প্রথমার্ধে দাপট দেখালো ম্যানচেস্টার সিটি। রিয়াদ মাহরেজের গোলে লিডও পেয়ে গেল। তবে বিরতিত পরপাশার দান উল্টে গেল। এবার সিটির ওপর পাল্টা আধিপত্য বিস্তার করল লাইপজিগ। তারাও পেলো গোলের দেখা।
দুই অর্ধে দুই দলের দাপটের ম্যাচে জয় পায়নি কেউ। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে সিটির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে লাইপজিগ।
ম্যাচের শুরু থেকে লাইপিজের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে সিটি। বল দখলে রেখে চেষ্টা চালায় লাইপজিগের রক্ষণ ভাঙার। কিন্তু স্বাগতিকদের জমার রক্ষণের সামনে প্রথমদিকে পরিষ্কার কোনো আক্রমণ করতে পারেনি তারা।
ম্যাচের ২৭তম মিনিটে লিড পায় সিটি। জার্মান ক্লাবটির রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে যান জ্যাক গ্রিলিশ। এরপর তার কাছ থেকে বল দুর্দান্ত ফ্লিকে মাহরেজের কাছে পাঠিয়ে দেন ইলকাই গিনদোয়ান। বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন মাহরেজ।
৩৬তম মিনিটে গ্রিলিশের শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে না গেলে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। চার মিনিটের ব্যবধানে আরও একটি সুযোগ হাতছাড়া হয় সিটির। কর্নার থেকে আসা বলে হেড দিলেও সেটা লক্ষ্যে রাখতে পারেননি রদ্রি।
প্রথমার্ধ জুড়ে নিজেদের হারিয়ে খোঁজা লাইপজিগ একদম শেষ সময়ে বলার মতো আক্রমণ করেছিল। কিন্তু টিমো ওয়ার্নারের দুর্দান্ত শটের সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান সিটি গোলরক্ষক এডারসন।
বিরতি থেকে ফিরেই যেন নিজেদের খুঁজে পায় লাইপজিগ। একের পর এক আক্রমণে নাড়িয়ে দেয় সিটির রক্ষণ। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল দলটি। কিন্তু বেনিয়ামিন হেনরিকসের আড়াআড়ি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে সে যাত্রায় হতাশ হতে হয় তাদের।
স্বাগতিকদের আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত সিটি দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম আক্রমণ করে ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে। কাউন্টার অ্যাটাকে পাওয়া বলে শট নিলেও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি আর্লিং হলান্ড।
ম্যাচের ৭০তম মিনিটে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় লাইপজিগ। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে স্বাগতিকদের ক্রোয়াট ডিফেন্ডার গাভারদিওলের উড়ন্ত হেড জড়িয়ে যায় সিটির জালে।
গোল হজম করার পর নিজেদের স্মৃতি ফিরে পায় সিটি। আবারও আধিপত্য বিস্তার করা শুরু করে। তবে এবার আর লাইপজিগের রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেনি। অন্যদিকে লাইপজিগও বেশ কয়েকটি আক্রমণ করেছিল শেষদিকে কিন্তু তারাও আর পায়নি জয়সূচক গোলের দেখা।
১৪ মার্চ নিজেদের মাঠ ইতিহাসে লাইপজিগকে আথিতিয়েতা দেবে সিটি। ওই ম্যাচে নির্ধারিত হবে কারা যাবে শেষ আটে।