পাঁচ ওভারে দরকার তখনও ৬৬ রান। মাঠে বার্তা পাঠালেন কোচ স্যামি ও অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি। এবার যেন প্রবলভাবে জেগে উঠলেন দুই ব্যাটার রোস্টন চেইস ও অ্যারন জোন্স। পরের তিন ওভারেই দুজন মিলে তুলে ফেললেন ৬৫ রান।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (সিপিএল) ফাইনালে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে সেন্ট লুসিয়া কিংস।
সোমবার সকালে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন গায়ানা ২০ ওভারে করে ১৩৮ রান। রান তাড়ায় সেন্ট লুসিয়া শেষের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জেতে ১১ বল বাকি রেখেই।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় গায়ানা। বাঁহাতি স্পিনার খ্যারি পিয়ের শূন্য রানেই ফেরান রাহমানউল্লাহ গুরবাজকে। আরেক ওপেনার মইন আলি ১৪ রান করেন ২০ বল খেলে। শেই হোপ ২৪ বল খেলে করেন ২২। একটি ছক্কায় ১১ রানেই বিদায় নেন শিমরন হেটমায়ার। ১২ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন প্রিটোরিয়াস, ৯ বলে ১৯ রানে শেফার্ড।
সেন্ট লুসিয়ার বাঁহাতি স্পিনার নুর আহমাদ তিন উইকেট নেন ১৯ রানে।
রান তাড়ায় গায়ানার মতোই সেন্ট লুসিয়াও শুরুতেই পেছনে হাঁটতে থাকে। জনসন চার্লস (৭ রান)। অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি করেন ২১ বলে ২১ রান।
চেইস ও জোন্সের জুটি টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ বোলিং করা দক্ষিণ আফ্রিকার মইন আলির ওপর চড়াও হয়। ষোড়শ ওভারে আসে ২৭ রান। পরের ওভারে প্রিটোরিয়াসকে দুটি ছক্কা এক চারে ২০ রান তোলে জোন্স। পরের ওভারে শেফার্ডের বলে জোন্সের ছক্কা ও চারে ওভার থেকে আসে ১৮ রান।
৩১ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটার জোন্স। গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেট নেওয়ার পর ২২ বলে অপরাজিত ৩৯ রান করে ‘ম্যান অব দা ম্যাচ’ রোস্টন চেইস।
১২ ম্যাচে ২২ উইকেটে নিয়ে ‘ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট’ নুর আহমাদ।
৪৫ বছর বয়সী লেগ স্পিনার ইমরান তাহিরের দারুণ অধিনায়কত্বে প্রাথমিক পর্বে শীর্ষে থাকলেও ফাইনালে পারল না গায়ানা। ৪০ বছর বয়সী দু’প্লেসির নেতৃত্বে শিরোপার স্বাদ পেল সেন্ট লুসিয়া। ট্রফি নিয়ে গোটা দলের সঙ্গে আবেগময় উল্লাসে উদযাপনে মেতে উঠলেন সেন্ট লুসিয়ারই সন্তান কোচ স্যামি।