• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৭১ রানেই শেষ লঙ্কানরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৩, ০৬:০২ পিএম
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৭১ রানেই শেষ লঙ্কানরা
ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। কিউই পেসারদের দাপটে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৭৪ রান তুলতেই লঙ্কানরা হারায় ৫ উইকেট। আর পরের ৫ উইকেটে হারিয়েছে ৯৭ রান তুলে। বেঙ্গালুরুতে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয় লাইন আপ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার পর তারা থেমেছে ৪৬.৪ ওভারে ১৭১ রানে অল-আউট হয়ে। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৭২ রান।

চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে কিউই পেসার টিম সাউদির বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন শ্রীলঙ্কার ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। ৩ রানে এক উইকেট হারানো লঙ্কানরা শুরু চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন। ওপেনার কুশল পেরেরা ও অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে ভর করে। সেই চাপ কাটিয়ে ওঠার আগেই লঙ্কান শিবিরে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় আঘাত। এবার ট্রেন্ট বোল্টের বলে রাচিন রবীন্দ্রর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লঙ্কান অধিনায়ক।

মেন্ডিসের ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ৬ রান। বোল্টের একই ওভারের চতুর্থ বলে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ফেরেন। সামারাবিক্রমার ব্যাট থেকে আসে ২ বলে ১ রান। ইনিংসের প্রথম ৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা ৩৪ রান তুলতেই হারায় ৩ উইকেট। এরপর চতুর্থ উইকেটে লঙ্কানরা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে। এই উইকেটে চারিত আসালাঙ্কা ও ওপেনার কুশল পেরেরা যোগ করেন ২২ বলে ৩৮ রান। এই জুটি ভাঙে বোল্টের তৃতীয় শিকার হয়ে আসালাঙ্কা এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে আউট হলে। এই ব্যাটার ৮ বলে ১ চারে ৮ রান করেন।

আসালাঙ্কার বিদায়ের পর স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না হতেই ফেরেন পেরেরা। তিনি অবশ্য ফেরার আগে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৭তম হাফ সেঞ্চুরি। এদিন পেরেরার ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রান। লঙ্কানরা প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৭৪ রান তুলতেই হারিয়েছে ৫ উইকেটে। ষষ্ঠ উইকেটে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচে টাইমড আউটে প্যাভিলিয়ানে ফেরা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ২৭ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন। সপ্তম উইকেটে ব্যাটিংয়ে নামেন চামিকা করুনারন্তে। তার সঙ্গে ধানঞ্জয়া ডি সিলভা ১ রান যোগ করে বিদায় নেন। ২৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ রান করেন এই ব্যাটার।

এরপর ৩৩তম ওভারে ৯ উইকেটে ১২৮ রান হারিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস যখন মৃত্যুর পথে তখনই কিউই বোলারদের আসল পরীক্ষা ফেলেন লঙ্কান দুই ব্যাটার। দশম উইকেটে দিলশান মাদুশঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন মহীশ তিকশানা। মাদুশঙ্কা ৪৮ বলে ১৯ রান করে রাচিনের বলে আউট হলে এই জুটি ভেঙে যায়। সেই সঙ্গে ১৭১ রানে লঙ্কানদের ইনিংসেরও মৃত্যু হয়। ৯১ বলে ৩ চারে ৩৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিকশানা। ব্লাক ক্যাপস পেসার বোল্ট ৩৭ রান খরচে নেন ৩ উইকেট।

Link copied!