শুধু জার্মানিই নয়, গত মৌসুমে পুরো ইউরোপীয় ফুটবলে তোলপাড় করে ফেলে বায়ার লেভারকুসেন। কোনো প্রতিষ্ঠিত ফুটবলার ছাড়াই কোচ জাবি আলোনসো রীতিমত বিপ্লব ঘটিয়েছেন। ক্লাবকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন তিনি। বায়ারের ইতিহাসে প্রথমবার জার্মান বুন্দেসলিগার শিরোপাও তারা জয় করেছিলো প্রথমবার।
এবারও বুন্দেসলিগায় শুভসূচনা করেছে বায়ার। নিজেদের প্রথম ম্যাচে কষ্টার্জিত হলেও বরুশিয়া মনচেনগ্লাডবাখকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে জাবি আলোনসোর শিষ্যরা। একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
প্রথমার্ধে ২ গোল করে এগিয়ে গিয়েছিলো বায়ার লেভারকুসেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের মাঠে জ্বলে ওঠে মনচেনগ্লাডবাখ। দুই গোল করে সমতায় ফিরে আসে তারা। ম্যাচ ২-২ গোলের সমতাতেই শেষ হতে যাচ্ছিলো। কিন্তু ম্যাচের ইনজুরি টাইম দেয়া হয় ১৪ মিনিট। ৯০+১১ মিনিটে ফ্লোরিয়ান উইর্টস গোল করে জয় এনে দেন বায়ার লেভারকুসেনকে।
শেষ গোলটাও ছিল বেশ নাটকীয়। শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পেয়ে যায় বায়ার। পরিবর্তিত খেলোয়াড় আমিনে আদিলকে ফাউল করে বসেন কো ইতাকুরা। স্পট কিক নেন উইর্টজ। কিন্তু গোলরক্ষক সেই বলটি ফিরিয়ে দেন। তবে বল ধরে রাখতে পারেননি। ফিরতি বলে আবারও শট নেন উইর্টজ। সেটাই জড়িয়ে যায় মনচেনগ্লাডবাখের জালে।
গত মৌসুমের শুরু থেকে এ নিয়ে বায়ার লেভারকুসেন ১২ বার নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলার পর ইনজুরি টাইমের গোলে জয় পেল। ইউরোপের সেরা ৫ লিগে এই সময়ের মধ্যে অন্য যে কোনো দলের চাইতে ৪ ম্যাচ বেশিবার এমন ঘটনার জন্ম দিলো তারা।
ম্যাচের ১২ মিনিটে গ্রানিত শাকার গোলে এগিয়ে যায় বায়ার লেভারকুসেন। ৩৮ মিনিটে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন ফ্লোরিয়ান উইর্টজ। ৫৯ মিনিটে গোল করেন স্বাগতিক মনচেনগ্লাডবাখের নিকো এলভেদি। ৮৫ মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন টিম ক্লেইনডিয়েনস্ট। ৯০+১১ মিনিটে ফ্লোরিয়ান নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোল করে জয় এনে দেন।