শুরু আর মাঝে সবাই আগ্রাসী শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারছিলেন না কেউ। তবে ছোট ছোট ক্যামিওতে বড় রানের মঞ্চ ঠিকই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আর সেই মঞ্চেই ঝড় তুলেছেন প্রিটোরিয়াস। তার ব্যাটে চড়ে খুলনাকে ১৭০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বরিশাল।
টসে এক দফা চমকের ব্যাটিংয়ে নেমে আরেক দফা চমকানোর পালা। ফরচুন বরিশালের একাদশে থাকলেও সাকিব আল হাসানের জায়গায় টস করতে এলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সে পর্যন্ত তা-ও ঠিক ছিল, এরপর যেটা হলো সেটা যেন সব সীমা অতিক্রম করল। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ওপেনিং করতে এলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তবে পজিশনের পরিবর্তন হলেও রিয়াদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি আজও। দলীয় ১৪ রানে যখন ফিরেছেন, তখন তার নামের পাশে মাত্র ৯ রানের ইনিংস। তিন নম্বরে নামা চতুরঙ্গা ডি সিলভাও এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি। এক ছক্কা ও এক চারে ফিরেছেন মাত্র ১৪ রান করে।
চার নম্বরে নেমে ঝোড়ো শুরু করেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু তিনিও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ। ফিরেছেন এক চার ও দুই ছক্কায় ১৪ বলে ২২ রান করে। অন্য পাশে তখন ধীরেসুস্থে খেলছিলেন এনামুল হক বিজয়।
সাকিব ফেরার মাত্র এক রানের ব্যবধানে ফিরে যান তিনিও। ২৯ বলে ২৮ রান করা বিজয় ফিরেছেন দলীয় ৭৭ রানে। এরপর দলীয় ১৪৭ রানে ফেরার আগে ১৫ বলে ১ রান করেন ইব্রাহিম জাদরান।
এই ম্যাচেই প্রথমবার বিপিএল খেলতে নেমেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। আর অভিষেক ম্যাচেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন মিরপুরে।
ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হওয়ার আগে প্রিটোরিয়াসের ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ বলে দুই চার ও চার ছক্কায় ৪৮ রানের ইনিংস। অন্য প্রান্তে মাত্র ৯ বলে ১৮ রানের ক্যামিও খেলে ইনিংসের শেষ বিদায় নেন করিম জান্নাত। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৯ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বরিশাল।