শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৯ রান। প্রথম বলেই এক রান। এরপর ৫ বলে কলকাতার জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ২৮ রান। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে টানা পাঁচ বলে ৫টি ছক্কা হাঁকান রিংকু সিং। তাতে ৩ উইকেটের জয় পায় কলকাতা।
গুজরাট টাইটান্সের দেওয়া ২০৫ রানের টার্গেট তাড়ায় নেমে ১৫ ওভার পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই ম্যাচে ছিল নাইট রাইডার্স। ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ৪০ বলে ৮৩, অধিনায়ক নিতিশ রানার ২৯ বলে ৪৫ রান তাদের ট্র্যাকে রেখেছিল। ১৬তম ওভারে বল তুলে নেন রশিদ খান। প্রথম বলেই রশিদের গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ দেন বিধ্বংসী আন্দ্রে রাসেল (১)। পরের বলটি ছিল লেন্থ ডেলিভারি। ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন আরেক ক্যারিবিয়ান তারকা সুনিল নারাইন (০)। তৃতীয় বলে শার্দুল ঠাকুরকে (০) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন রশিদ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি শার্দুল।
তিন বড় তারকাকে ফিরিয়ে রশিদের দারুণ হ্যাটট্রিকের পর কলকাতার জয়ের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল সবাই। সেখান থেকেই নতুন শুরু করেন রিংকু সিং। উইকেটে সেট হয়ে হাত খুলে মারতে থাকেন। এরপর শেষ ওভারে তিনি যা করলেন, সেটা অবিস্মরণীয় হয়ে রইল। জশ দয়ালের করা প্রথম বলটিতে সিঙ্গেল নিয়ে রিংকুকে স্ট্রাইক দেন উমেশ যাদব। পরের পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে দেন রিংকু সিং। ২৫ বছর বয়সী এই অফ স্পিনিং অল-রাউন্ডার অপরাজিত থাকেন ২১ বলে ১ চার এবং ৬ ছক্কায় ৪৮* রানে। তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয় তুলে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।