ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইনের তিন নম্বর পজিশনটা বরাদ্দ থাকে বিরাট কোহলির জন্য। এই পজিশনেই কোহলি ব্যাট করে সব থেকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে দলের প্রয়োজনে পছন্দের পজিশন ছেড়ে তার ৪ নম্বরে ব্যাট করা উচিত বলে মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স। এই ৩৬০ ডিগ্রির মতে, ম্যান ইন ব্লুদের ৪ নম্বর পজিশনের পারফেক্ট ব্যাটার হবেন কোহলি।
ভারতের মিডল অর্ডারের ৪ নম্বর পজিশন নিয়ে সমস্যায় আছেন টিম ম্যানেজমেন্ট। তাদের এই সমস্যা দূর করতে বিকল্প পজিশন নিয়েও আলোচনা হচ্ছে দলটির মধ্যে। অনেকজন পরামর্শ দিয়েছেন রান মেশিন কোহলিকে ৪ নম্বর পজিশনে ব্যাট করানোর জন্য। কিন্তু ৩ নম্বর পজিশনে খেলেই যে কোহলি ১০ হাজার ৭৭৭ রান করেছেন। তিনি এই পজিশনে ব্যাট করাদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার আগে আছেন শুধু রিকি পন্টিং। এমন সফল ব্যাটারকে দিয়ে কি ৪ নম্বর পজিশনে পরীক্ষা করাটা ঠিক হবে।
অন্যদিকে ডি ভিলিয়ার্স ভারতের ৪ নম্বর পজিশন নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘এবি ডি ভিলিয়ার্স ৩৬০’-এ আলোচনা করেন। কোহলি যদি তার প্রিয় পজিশন ছেড়ে ৪ নম্বরে ব্যাট করেন তাহলে এই আফ্রিকান ক্রিকেটারই হবেন তার সব থেকে বড় সমর্থক। ডি ভিলিয়ার্স বলেন, “আমরা এখনো কথা বলছি যে ভারতের চার নম্বর ব্যাটসম্যান কে হবে। কিছু গুঞ্জন শুনতে পাচ্ছি যে বিরাট হয়তো এই পজিশনে খেলতে পারে। সেটা হলে আমি হব বড় এক সমর্থক। আমার মনে হয়, চার নম্বরে বিরাট হতে পারে পারফেক্ট। সে ইনিংস গুছিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে পারে, মিডল অর্ডারে যে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে।”
৩৬০ ডিগ্রি আরও বলেন, “অবশ্য জানি না, এটা সে করতে চাইবে কি না। আমরা জানি, তিন নম্বর পজিশন তার দারুণ পছন্দের, এখানে সে কত কত রান করেছে। তবে দিন শেষে, যদি দলের কিছু চাওয়া থাকে, দল যদি কাউকে কোনো নির্দিষ্ট ভূমিকায় দেখতে চায়, তাহলে এগিয়ে আসা এবং তা গ্রহণ করাই উচিত।”
ভারতীয় দলের হয়ে ৪ নম্বর পজিশনে কোহলি ৩৯ ইনিংস ব্যাট করেছেন। সেখানে ৫৫ দশমিক ২১ গড়ে রান করেছেন ৯০ দশমিক ৬৬ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে। এই পজিশনে তার ৭টি সেঞ্চুরি রয়েছে। ৪ নম্বর পজিশনে রেকর্ড তার পক্ষে কথা বললেও তিনি শেষ ৮ বছরে ব্যাট হাতে এই পজিশনে মাঠে নেমেছেন মাত্র তিনবার। এর থেকেও ভয়াবহ হলো শেষ ৭ ইনিংসে কোহলির ২০ রানের ইনিংস এটিও নেই।
কোহলিকে ৪ নম্বরে ব্যাটিং করানোর উদ্দেশ্য দলটার মিডল অর্ডারের অনভিজ্ঞতাকে ঘিরে। ভারতীয় দলে এশিয়া কাপে ৪ নম্বর পজিশনে শ্রেয়াস আইয়ারকে ভাবা হচ্ছে তিনি দীর্ঘদিন পর ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিজ্ঞতা একটু কম।