ভারতের বিরাট কোহলি ও পাকিস্তানের বাবর আজম একই দলের হয়ে মাঠে নামবেন। দুজনেই হতে পারেন আফ্রো-এশিয়া কাপে এশিয়ান দলের সদস্য। সঙ্গে থাকবেন ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান দলের আরও কয়েকজন।
আসলে ১৭ বছর পর আবারও আফ্রো-এশিয়া কাপ আয়োজনের চেষ্টা চলছে। এতে এশিয়ার একাদশ ও আফ্রিকার একাদশ দল একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে। এই টুর্নামেন্টটি শেষবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৭ সালে। আফ্রিকা ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিএ) শনিবার বার্ষিক সাধারণ সভায় টুর্নামেন্ট পুনরায় এই টুর্নামেন্ট শুরু করার জন্য কমিটি গঠন করেছে।
আফ্রিকা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ) ১৭ বছর পর আবার এশিয়ান এবং আফ্রিকান দেশগুলির মধ্যে আফ্রো এশিয়া কাপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চলেছে। এই টুর্নামেন্টে এশিয়া একাদশ ও আফ্রিকা একাদশের মধ্যে একটি ম্যাচ খেলা হতে পারে। এই টুর্নামেন্টটি সর্বশেষ ২০০৭ সালে খেলা হয়েছিল। তবে এখন আবার প্রায় দুই দশক পর এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। এসিএ’র অন্তর্বর্তী সভাপতি তাভেংওয়া মুকুহলানি এই টুর্নামেন্টে একটি বড় আপডেট দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, আফ্রিকান দলগুলো চায় আফ্রো এশিয়া কাপ আবার শুরু হোক।
আফ্রো এশিয়া কাপ প্রথম শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-১ সমতায় ছিল। একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল। যেখানে ২০০৭-এর এই টুর্নামেন্টে এশিয়া একাদশ তিনটি ম্যাচেই জয়লাভ করেছিল। ২০০৫ সালে, এশিয়া একাদশের অধিনায়কত্ব করেছিলেন পাকিস্তানি খেলোয়াড় ইজমাম উল হক। রাহুল দ্রাবিড়, আশিস নেহরা ছাড়াও এই দলে ছিলেন অনিল কুম্বলের মতো তারকা খেলোয়াড়রা। ২০০৭ সালে, এমএস ধোনি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, হরভজন সিং, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, মুহম্মদ আসিফ, মুহম্মদ ইউসুফ এবং শোয়েব আখতারের মতো তারকাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। দুই আসরে এশিয়া দলের হয়ে খেলেন বাংলাদেশের মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোহাম্মাদ আশরাফুল ও মোহাম্মাদ রফিক। সে সময় ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক ভালো ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হলে এই টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
আফ্রো-এশিয়া কাপ একটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ। এতে এশিয়া ও আফ্রিকা একাদশ নিজেদের মধ্যে ৩ ম্যাচের সিরিজ খেলবে। এসব দলে নিজ নিজ মহাদেশের সেরা খেলোয়াড় বাছাই করা হয়। এই সিরিজের ম্যাচগুলো আন্তর্জাতিক ম্যাচের মর্যাদা পায়।