টানা তিন ম্যাচে খেললেও হারের বৃত্তেই আটকা পড়েছিল খুলনা টাইগার্স। অবশেষে নিজের ঘরের মাঠ সাগরিকায় দুর্দান্ত ফিফটিতে খুলনাকে প্রথম জয় এনে দিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নেমে ওয়াহাব রিয়াজের বিধ্বংসী বোলিংয়ে রংপুর রাইডার্সকে ১২৯ রানে আটকে রেখেছিল খুলনা। এরপর তামিমের ব্যাটে চড়ে রংপুরকে ৯ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে আসরের প্রথম জয় তুলে নিলো রুপসা পাড়ের দলটি।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারায় রংপুর। ইনিংসের প্রথম বলেই ফিরে যান রনি তালুকদার। দলীয় ২২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারালে শুরুতেই চাপে পড়ে রংপুর
এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে পারভেজ হোসেন ইমন ও মেহেদী হাসান হাল ধরেন। তাদের ৫১ রানে জুটিতে প্রাথমিক চাপ সামাল দেয় রংপুর। দলীয় ৫১ রানে ইমন ফেরেন ব্যক্তিগত ২৫ রানে।
নুরুল হাসান সোহানের পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সোয়েব মালিকও ক্রিজে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। দলীয় ৭৪ রানে তাকে ফিরিয়ে দেন খুলনার বোলার আহমেদ বাট।
বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন মেহেদী হাসান। তবে তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেনি। দলের ৯৮ রানে মেহেদী ৩৮ রানে আউট হলে রংপুর তাদের ইনিংস আর বেশি বাড়াতে পারেনি। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে কেবল রাকিবুল হাসান দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেন। ১২৯ রানেই গুটিয়ে যায় রংপুরের ইনিংস।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তামিম ইকবাল ও মুনিম শাহরিয়ার ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে খুলনার স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৪১ রান। ষষ্ট ওভারে তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ২১ রানে মুনিম ফিরলে প্রথম উইকেট হারায় খুলনা।
এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে বেশ অস্বস্তি বোধ করছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। ততক্ষণে অন্যপান্তে শুরুতেই ধুঁকতে থাকা তামিম নিজের খোলস ছেড়ে বের হওয়া শুরু করেছেন।
শেষ পর্যন্ত তামিম আর জয়ের নিরবিচ্ছিন জুটিতে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে হারের হ্যাটট্রিক করা খুলনা। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন তামিম। অন্যপ্রান্তে জয়ের ব্যাট থেকে দুই চার ও এক ছক্কায় এসেছে ৪২ বলে ৩৮ রানের ইনিংস।