বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুলনা টাইগার্সকে মাত্র ১১৪ রানেই আটকে রেখেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। বল হাতে তিন উইকেট নিয়েছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। স্বল্প লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরতেই দুই ওপেনার ফিরে গেলেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি সিলেটের। খুলনাকে হারিয়ে শীর্ষ দুই নিশ্চিত সিলেটের।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নিয়মরক্ষার ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে সিলেটের জয় এসেছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেছেন জাকির হাসান।
ইনিংসের শুরুতে মাত্র ৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় খুলনা। মুনিম শাহরিয়ার প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। দলীয় ২১ রানে ফেরত যান সাই হোপ। একই রানে ফেরেন অ্যান্ডি বালবার্নি।
ইয়াসির আলি-সাব্বির রহমান জুটিও বেশিদূর আগাতে পারেননি। দলের ৩৫ রানে ইয়াসির ১২ রানে ফেরেন। দলীয় ৫১ রানে সাব্বির দুই অংকের ঘরে পৌছানোর আগেই আউট হন।
তবে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। তবে তিনি সতীর্থদের থেকে সহযোগিতা পাননি। খুলনার আসা-যাওয়ায়র মিছিলে বাকি ব্যাটারদের মধ্যে কেবল নাহিদুল ইসলাম দুই অঙ্কের (২২) ঘরে পৌছাতে পেরেছেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে খুলনার ইনিংস থামে ১১৩ রানে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০ রানেই ফিরে যান সিলেটের দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। তবে এরপর মুশফিকুর রহিম ও জাকির হাসান মিলে শুরুর সেই চাপকে পাত্তাই দেননি।
ইনিংসের ১০০ রানে জাকির ফিরলে ভাঙে তাদের ৯০ রানের ম্যাচজয়ী জুটি। ফেরার আগে ৪৪ বলে ফিফটি করা জাকির খেলেন ৪৬ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৫০ রানের ইনিংস।
একই রানে ফিরে যান মুশফিকও। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে চারটি চারে ৩৯ রানের ইনিংস। রায়ার্ন বার্ল ও গুলাবদিন নাইব মিলে বাকি পথ অনায়াসেই পাড়ি দেন।