কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে বাংলাদেশের শিরোপা উল্লাস। স্বাগতিক নেপালকে ৪-১ গোলে ফাইনালে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ-২০ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলের কোচ মারুফুল হক ও গোলদাতা রাব্বি হোসেন রাহুল বাংলাদেশের এই ট্রফি শহীদ ছাত্র জনতাকে উৎসর্গ করেছেন। এর আগে, রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জয় পায় এবং সেই জয় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত শহীদদেরকে উৎসর্গ করেছিলেন।
ফাইনাল ম্যাচ শেষে কাঠমান্ডুতে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আগে ব্রডকাস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মারুফুল হক বলেন, ‘আমাদের এই সাফল্য ও আমার এই অর্জন উৎসর্গ করতে চাই যারা সাম্প্রতিক সময়ে আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন।’ মারুফের পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে আসা ফরোয়ার্ড রাহুলও কোচের মন্তব্যের পুনরাবৃত্তিই করেছেন।
বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টের শুরুই করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করে। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম গোল করে গোলদাতা মিরাজুল ইসলাম আলাদা একটি টি শার্ট পড়েন। সেই টি শার্ট ছিল আবু সাঈদ মুগ্ধর স্মরণে। ফুটবলের মাঠে এ রকম জিনিষ পড়া ঝুকিপূর্ণ হলেও বাংলাদেশ ফুটবল দল সেই ঝুকি নিয়েছিল।
জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বাংলাদেশ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পার করেছে। আগস্ট ক্ষমতা পালাবদলের পর পর আবার নতুন সংকট দেখা দেয়। বন্যায় দেশের অনেক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। কোচ মারুফুল হক ও ফরোয়ার্ড রাহুল দুই জনই ফুটবলের ট্রফি দেশের জন্য স্বস্তিকর উল্লেখ করে বলেন, ‘আসলেই আমরা নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই ট্রফি দেশবাসীর জন্য খুশির উপলক্ষ্য।’
বাংলাদেশের এই জয়ের অন্যতম নায়ক জোড়া গোলদাতা মিরাজুল ইসলাম। নিজে দুই গোলের পাশাপাশি আরেক গোল করিয়েছেন। সেই মিরাজুল তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা আজ নিজের জন্য খেলিনি, দেশের সবার জন্যই খেলেছি। নেপালও ভালো খেলেছে, আল্লাহ আমাদের সহায় হয়েছে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’
মিরাজুল ইসলাম ফাইনালে জোড়া গোল ছাড়াও টুর্নামেন্টে আরে দুই গোল করেছেন। চার গোল টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা এই ফুটবলার। বাফুফের এলিট একাডেমী থেকে তিনি উঠে এসেছেন।