বাংলায় একটা প্রচলিত প্রবাদ আছে যত দোষ নন্দ ঘোষ! এই প্রবাদটাই যেন ঘটেছে বাবর আজমের ক্ষেত্রে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের ব্যর্থতার সব দায় যেন বাবরের ঘাড়ে! দেশটির বেশির ভাগ সাবেক ক্রিকেটাররা পাকিস্তান অধিনায়ককে শূলে চড়াচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে, বিশ্বকাপ ব্যর্থতার দায়ে অধিনায়কত্ব হারাচ্ছে বাবর আজম। তার এমন খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। একটি ইউটিউব পডকাস্টে ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক কপিল জানান, বাবরের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে তাকে যাচাই করাটা ঠিক হবে না।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে পারেনি পাকিস্তান। বিশ্বমঞ্চে দলটা প্রথম দুই ম্যাচ জিতে পরের টানা এক হালি হারে শেষ চারের পথ কঠিন করে তোলে। তবে পরের দুই ম্যাচে বাবরের দল জিতে আবার শেষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ে ফিরে আসে তারা। কিন্তু শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে বাড়ির পথ ধরতে হয় পাকিস্তানকে। ম্যান ইন গ্রিনদের সেমিতে ওঠতে না পারার কারণ হিসেবে অনেকেই দেখছেন বাবরের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স। ৯ ম্যাচে চারটি অর্ধশতকসহ ৪০ গড়ে করেছেন ৩২০ রান। তার অধিনায়কত্ব নিয়েও আছে সমালোচনা।
কিন্তু কপিল দেব বলেছেন, “আপনি আজ যদি বলেন বাবর আজম অধিনায়ক হিসেবে ঠিক পছন্দ নয়, তার মানে আপনি তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের দিকে তাকাচ্ছেন। সে সেই একই অধিনায়ক আছে, যে কিনা ছয় মাস আগে পাকিস্তানকে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর দল বানিয়েছিল।”
কপিল আরও বলেন, “কেউ যখন শূন্য রানে আউট হয়, ৯৯ শতাংশ মানুষ চাইবে তাকে বাদ দেওয়া হোক। আবার কোনো সাধারণ মানের খেলোয়াড় এসে যদি দুর্দান্ত একটি শতক করে, তাকেই মানুষ তারকা বলবে। তাই সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের দিকে তাকাবেন না। খেলাটার প্রতি তার মনোভাব কী, তার আবেগ কতটা এবং সে কতটা প্রতিভাবান; সেটাই দেখুন।”