পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। সিরিজ জয় আগে নিশ্চিত হলেও শেষ ম্যাচে টাইগ্রেসদের সামনে সুযোগ ছিল ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার। কিন্তু নিগার সুলতানা জ্যোতিরা সেই সুযোগ হাত ছাড়া করেছে পাকিস্তানের কাছে ৩১ রানে হেরে। এই ম্যাচ হারলেও টি-টোয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ ট্রফিটা ঘরেই রেখে দিয়েছে।
চট্টগ্রামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেটে পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে ১৩২ রান জমা করে। জবাব দিতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান তোলে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এতেই ৩১ রানে হারতে হয় জ্যোতির দলকে।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার সিদরা আমিনকে হারায় পাকিস্তান। এই ব্যাটার ৫ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। সিদরা বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়েন বিসমাহ মারুফ এবং মুনিবা আলী। বাংলাদেশের বোলারদের ব্যাট হাতে রীতিমতো শাসন করেছেন এই দুজন। ওভারপ্রতি ৬ করে রান তুলেছেন তারা। সফরকারীদের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ১০৩ রান। এই জুটি ভাঙে নাহিদা আক্তারের বলে মুনিবা আউট হলে। মুনিবার ব্যাট থেকে আসে ৪৯ বলে ৬১ রানে দুর্দান্ত এক ইনিংস। এরপর আলিয়া রিয়াজ এসে অবশ্য বেশিকিছু করতে পারেননি। ৬ বলে ৪ রান করেই থেমে যান তিনি। ইনিংসের শেষ ওভারে ৪৮ রানে আউট হন বিসমাহ মারুফ। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৩ রানের। বাংলাদেশের হয়ে ফারিহা তিশনা ২ উইকেট শিকার করেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আক্রমণাত্মক হতে চেয়েছিলেন টাইগ্রেস দুই ওপেনার। সাদিয়া ইকবালের বলে ৪ দিয়ে রানের খাতা খোলেন সুমাইয়া আক্তার। তারপরেই বিদায় নেন তিনি। সুমাইয়ার ফেরার পর শামীমা আর সোবহানা মোস্তারি চেষ্টা করেছিলেন ইনিংস বড় করার। তবে সেটাও হয়নি। রানরেট ঠিক থাকলেও পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই বিদায় নেন সোবহানা। পরের ওভারেই ধাক্কা খেতে হয় বাংলাদেশকে। ৪ বলে ৩ করে আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি।
এরপর থেকেই জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে পাকিস্তান। তবে মাঝে শরীফা খাতুনের ১৮ আর রাবেয়া খানের ১১ রান না থাকলে ১০০ এর আগেই থামতে পারতো বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১০১ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন সাদিয়া ইকবাল এবং আলিয়া রিয়াজ।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাকিস্তান ওপেনার মুনিবা আলীর হাতে উঠে। আর ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরার পুরস্কার ওঠে বাংলাদেশি স্পিনার নাহিদা আকতারের হাতে।