• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল জ্যোতিরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৩, ০৪:৪৩ পিএম
পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল জ্যোতিরা
ছবি: সংগৃহীত

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পাকিস্তান নারী দলের বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। টাইগ্রেস বোলারদের কল্যাণে সিরিজ জয়ের জন্য সহজ লক্ষ্য পায় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। সেই সহজ লক্ষ্য আরও সহজ করে দেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। যার সুবাদে ২৬ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজের শিরোপা ঘরে তুলল জ্যোতিরা।

ঘরের মাঠে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ানডেতে  ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগ্রেসরা। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে শুরু করে জ্যোতি, নাহিদা আকতাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে জয় তুলে নিয়ে সিরিজে সমতায় ফেরায় বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান দাঁড়াতেই পারেনি টাইগ্রেস স্পিন ঘূর্ণির সামনে। নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৬৬ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারীরা। জবাবে বাংলাদেশের দুই ওপেনার ফারজানা হক ও মুর্শিদা খাতুনের একশ ছাড়ানো পার্টনারশিপের সুবাদে ৪৫.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান তুলে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগ্রেসরা।

সিরিজ জয়ের জন্য সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিন শুরু থেকে দেখে শুনে খেলেন স্বাগতিক দুই ওপেনার ফারজানা ও মুর্শিদা। পাকিস্তানি বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে এই ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশ ১২৫ রানের সংগ্রহ পায়। নারী দলের ওয়ানডে ইতিহাসে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি।

এর আগে শুকতারা রহমান ও শারমিন আক্তারের করা ১১৩ রান ছিল সর্বোচ্চ জুটি। শুক্রবার ১২৫ রানের জুটি ভাঙে নাশরা সান্ধুর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফারজানা বিদায় নিলে। এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ১১৩ বলে ৫ চারে ৬২ রান। ফারজানার বিদায়ের পর উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি আরেক ওপেনার মুর্শিদাও। তাকেও ফেরান নাশরা। এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ১০৬ বলে ৬ চারে ৫৪ রান।

এরপর ক্রিজে এসে অধিনায়ক জ্যোতির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে কোনো বল না খেলেই রান আউটে কাটা পড়েন ফাহিমা। এরপর  সোবানা মোস্তারিকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন টাইগ্রেস অধিনায়ক। মোস্তারি ৩০ বলে ১৯ আর জ্যোতি ২৫ বলে ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নাহিদাদের স্পিন ঘূর্ণিতে বেশিদূর এগোতে পারেনি পাকিস্তানের ইনিংস। উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানকে ৬৫ রান এনে দেন সাদাফ শামাস ও সিদরা আমিন। ৬১ বলে ৩১ রান করা সাদাফ শামাসকে এলবিডব্লিউ করে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান নাহিদা আক্তার। দ্বিতীয় উইকেটে মুনীবা আলির সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়েন ওপেনার সিদরা আমিন। ৩৬ বলে ১৪ রান করা মুনীবা আউট হন স্পিনার স্বর্ণা আক্তারের বলে।

এরপর সিদরা একপ্রান্ত আগলে রাখলেও টাইগ্রেস স্পিনারদের তোপে তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন সফরকারীদের বাকি ব্যাটাররা। এদিন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার আর অষ্টম উইকেটে এসে ৯ বলে ১১ রান করে দিয়ানা বাইগ শুধু দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেন। তাছাড়া আর কোনো ব্যাটার এদিন ব্যাট হাতে রান করতে পারেননি। মিরপুরে ওয়ান ম্যান আর্মি হয়ে ১৪৩ বল মোকাবিলায় শেষ পর্যন্ত ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তান ওপেনার সিদরা।

টাইগ্রেসদের হয়ে ২৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন নাহিদা আক্তার। ৩৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রাবেয়া খান।

Link copied!