গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে ৫ ম্যাচ খেলা হয়ে গেলেও লিটন দাস বলার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি। টুর্নামেন্টে তার ব্যাটিং ছিলো ছন্দহীন ধীরগতির। অবশেষে তার ব্যাটে রানের ফুল ঝুড়ি ছুটলো। তার ব্যাটে ভর করে সারে জাগুয়ার্স পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। দলকে জেতাতে লিটন খেলেন ৪৫ বলে ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। তার এমন ইনিংসের সুবাদে সারে ১১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পায়।
মঙ্গলবার (১ আগ্রস্ট) ব্রাম্পটন ওলভসের বিপক্ষে মাঠে নামে লিটন দাসের সারে জাগুয়ার্স। এদিন সারে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় ব্রাম্পটনকে। ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো ব্যাটার ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। কলিন গ্রান্ডহোম বাদে সবাই ফিরে গিয়েছেন ১৫ রানের নিচে। এদিন ব্রাম্পটনের ব্যাটার গ্রান্ডহোমের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৩৪ বলে ৩৪ রান। যার কল্যানে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান সংগ্রহ করে ব্রাম্পটন।
জবাবে ১২৯ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নামে জাগুয়ার্স। জয়ের জন্য ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়েও চাপে পড়ে যায় সারে। ব্যাটিংয়ের শুরুতে ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর দলের চাপ সমাল দিতে অধিনায়ক ইফতেখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন বাংলাদেশের উইকেট কিপার ব্যাটার লিটন দাস।
এদিন শুরুতে লিটন ধীরগতির ব্যাটিং করেন। রানের খাতা খুলতে তাকে খেলতে হয় ছয়টি বল। রানের খাতা খুলার পর আস্তে আস্তে ছন্দময় ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন তিনি। সময় যত গড়াতে থাকে লিটন ও ইফতেখার জুটি ব্যাটিংয়ে আগ্রাসী হয়ে ওঠে। এই দুজন ৭৭ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়েন।
দল যখন জয় থেকে ৯ রান দূরে তখনি ভুল করে বসেন লিটন। শহীদ আহমদজাইয়ের বলে স্কয়ার কাট করতে গিয়ে অ্যারন জনসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। লিটন আউট হওয়ার আগে ৩ বাউন্ডারি ৩ ওভার বাউন্ডারির কল্যাণে ৪৫ বলে ৫৯ রান করেন।
লিটন আউট হলেও দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন পাকিস্তান ব্যাটার ইফতেখার। তিনি ৪১ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ব্যাট হাতে দারুণ পারফরমেন্স করায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান লিটন দাস।