ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন মাত্র দু’বছর আগেও। সেবস্টিয়ান হালারকে জার্মান ক্লাব বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড দলে নিয়েও ছিল। তবে ক্যান্সারের কারণে থমকে যায় সব। পরবর্তীতে ক্যান্সার জয় করে মাঠে ফেরেন তিনি। ফেরার পর প্রথম ম্যাচে গোলও পেয়েছেন। এবার সেই হালার নিজের ক্যারিয়ারের হয়তো বড় সাফল্যটিই পেয়ে গেলেন। নিজ দেশ আইভরিকোস্টকে এনে দিলেন আফ্রিকা মহাদেশের ফুটবল শ্রেষ্ঠত্ব।
আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালটা ছিল দারুণ রোমাঞ্চকর। প্রথম গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়লেও ঠিকই দুর্দান্ত কামব্যাকে জয় নিয়ে এসেছে আইভরিকোস্ট। সেবাস্টিয়ান হালারের ৮১ মিনিটের দারুণ এক গোলে নিশ্চিত হয় তাদের তৃতীয় মহাদেশীয় শিরোপা। ম্যাচে দিদিয়ার দ্রগবার দেশ জয় পায় ২-১ গোলে।
স্বাগতিক আইভরিকোস্ট গ্রুপের দুই ম্যাচে হেরে যায় নাইজেরিয়া ও ইকুয়াটোরিয়াল গিনির কাছে। এরপরও তৃতীয় সেরা দলগুলোর একটি হয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে তারা।
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নকআউটে ওঠা আইভরিকোস্ট একে একে সেনেগাল, মালি ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্রকে বিদায় করে ফাইনালে উঠে।
ফাইনালে দাপুটে শুরু করে আইভরিকোস্ট। প্রথমার্ধেই তারা ৯ শট নেয় নাইজেরিয়ার গোলমুখে। তবে সবদিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও ম্যাচে প্রথম গোলটি করে নাইজেরিয়াই।
সেট পিস থেকে পাওয়া বলে গোল করেন নাইজেরিয়ার উইলিয়াম ট্রোস্ট-একং। পুরোপুরি আনমার্কড ছিলেন তিনি।
ম্যাচের ৬২ মিনিটে সমতাসূচক গোল পায় আইভরিকোস্ট। কর্নার থেকে বল পেয়ে গোল করেন ফ্রাঙ্ক কেসি। বল রিসিভ করতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেও দলকে রক্ষা করতে পারেননি নাইজেরিয়া গোলরক্ষক।
এই গোলে মানসিকভাবে অনেকটা চাঙ্গা হয়ে উঠে স্বাগতিকরা। জয়সূচক গোল আসে ৮১ মিনিটে। বামপ্রান্তের মাপা ক্রস থেকে দারুণ এক গোল করেন হলার। এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে আর সমতায় ফেরা হয়নি নাইজেরিয়ার। স্বাগতিক আইভরিকোস্ট জিতে নেয় নিজেদের তৃতীয় মহাদেশীয় শিরোপা।