বর্ণবাদী গালি দেওয়ার দায়ে বড় শাস্তি পেতে হলো ইতালির ফুটবল ডিফেন্ডার মার্কো কুর্তোকে। দক্ষিণ কোরিয়ান ফরোয়ার্ড হোয়াং হি-চ্যানকে গালি দেন কুর্তো।
১০ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে। পাশাপাশি সামাজিক সেবামূলক কাজ করা, ফিফা অনুমোদিত কোনো সংস্থায় ট্রেনিং নেওয়া ও শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২৫ বছর বয়সী ফুটবলারকে।
তার ১০ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার পাঁচটি কার্যকর হবে এখনই। বাকি পাঁচটি স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। আগামী দুই বছরের মধ্যে আবার এরকম কিছু করলে কার্যকর হবে তা।
গত জুলাইয়ে প্রাক-মৌসুম ম্যাচে ইতালিয়ান ক্লাব কোমোর সঙ্গে ইংলিশ ক্লাব উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের লড়াইয়ে আলোচিত এই ঘটনা ঘটে। স্পেনের মারবেইয়া শহরে ওই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে উলভারহ্যাম্পটনের হোয়াংকে কিছু একটা বলেন কোমোর কুর্তো। সেটির সূত্র ধরে তাৎক্ষনিকভাবে মাঠেই গন্ডগোল লেগে যায় দুই দলের। কোমোর এক ফুটবলারকে ঘুষি মেরে লাল কার্ড দেখেন উলভারহ্যাম্পটনের উইঙ্গার দানিয়েল পোদেস।
ম্যাচের পরই ইতালিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও উয়েফার কাছে অভিযোগ জানায় উলভারহ্যাম্পটন। তবে তারা ব্যবস্থা নিতে অপারগতা জানায়, যেহেতু ম্যাচটি তাদের আওতাধীন বা স্বীকৃত নয়। পরে কোরিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এগিয়ে আসে এবং ফিফার কাছে অভিযোগ জানায় তারা।
ফিফার তদন্তের পর এলো এই শাস্তির ঘোষণা। ফিফার এক মুখপাত্র জানান, বৈষম্যমূলক আচরণের প্রমাণ পাওয়া গেছে কুর্তোর বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনার পর কুর্তোর ক্লাব কোমো বিবৃতিতে জানিয়েছিল, হোয়াংকে স্রেফ ‘জ্যাকি চ্যান’ বলেছিলেন কুর্তো। কারণ তিনি শুনেছিলেন, উলভারহ্যাম্পটনের ফুটবলাররা হোয়াংকে ‘চ্যানি’ নামেই ডাকেন। কোমোর দাবি ছিল, অপমানজনক কোনো কিছুই কুর্তো বলেননি এবং উলভারহ্যাম্পটনের কিছু ফুটবলার যেভাবে ব্যাপারটাকে ‘তিল থেকে তাল’ বানিয়েছে, তা নিয়ে হতাশাও প্রকাশ করেছিল ইতালিয়ান ক্লাবটি।
কিন্তু ফিফার তদন্তে শেষ পর্যন্ত কুর্তোর দায় প্রমাণ হলো। ফিফার রায়কে স্বাগত জানান উলভারহ্যাম্পটনের ক্রীড়া পরিচালক ম্যাট ওয়াইল্ড।
কোমো থেকে এই মৌসুমে আরেক ইতালিয়ান ক্লাব চেজেনায় ধারে খেলছেন কুর্তো।